
মেহেরপুরে বাবা-মার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ছয় কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নেয়ার অভিযোগ
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধঃ
মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ও হাতি ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন এর বিরুদ্ধে মা ও বাবার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে,অভিযোগে বলা হয়েছে ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে আলমগীর হোসেন রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যান।
এবং জোরপূর্বক দলিলে টিপস হয়ে নিয়ে নেনে,কোথায় সই দিচ্ছি এই মর্মে মা জানতে চাইলে আলমগীর বলেন বাবার পেনশনের টাকা বৃদ্ধি পাবে এই মর্মে দরখাস্ত করা হচ্ছে তাই সই নিচ্ছি,বিষয়টি তার মা আচ করতে পারলে, বাড়ি এসে তার বড় ছেলে এবং মেয়েদের সামনে আলোচনা করে, পরে বড় ছেলের জাহাঙ্গীর আলম রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৭৬৩/ ২০২৫ দলিল মূলে আলমগীরের নাবালক দুই ছেলে আশিক আলমগীর ও আবরার আলমগীর দুই জনের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে, এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মেহেরপুর বিজ্ঞ আমলে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন মামলা নাম্বার সি আর-৪১৫/২০২৫
সি আর -৬৩৯/২৫ মামলা দুটি বিচারক আমলে নিয়ে আলমগীরের নামে গ্রেফতারি পরোনা জারি করেন। এবং মামলা দুটি সিআইডিকে তদন্ত-পূর্বক রিপোর্ট প্রদান করার জন্য বলেন,অভিযোগকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমার অসুস্থ মাকে চিকিৎসার নাম করে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক দলিলে সই করে নেই তবে এই সই করার ক্ষেত্রে আরও তিনজন দফরপুর গ্রামের মৃত কলিমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলের নুরুল ইসলাম শরিফ ফুল ইসলামের পুত্র মোঃ রাশিদুল ইসলাম (বর্তমানে পুলিশ বিভাগ কর্মরত),
সহ তিন জন মিলে তাকে সহযোগিতা করছে।
পরে বড়ছেলে জাহাঙ্গীর সহ পরিবারের সদস্যরা আলমগীর কে জমি ফেরত দেয়ার কথা বললে সে টালবানা করতে থাকে, জাহাঙ্গীর আরো বলেন যায় যে আলমগীর অন্য এক ব্যাক্তি কে পিতা সাজিয়ে তার নামে থাকা পাঁচ বিঘা জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।
এই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার দুই বোন মিলে মেহেরপুর আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন মামলায় হাজিরা না দিয়ে বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষক আলমগীর হোসেন পলাতোক রয়েছেন।
বর্তমানে হাতি ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হওয়ায় মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছেন ও স্কুলে উপস্তিত থেকে বিরত হয়ে আছেন।
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অনুপস্থিতির ঘটনার স্বীকার করেন এবং বলেন মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে উনিও অনুপস্থিত আছেন, ছুটিতে আছেন কিন্তু ইংলিশ টিচার হয়ে ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় অসুবিধা ঘটছে।
তবে একজন শিক্ষক হয়ে অন্য ব্যক্তিকে পিতা সাজিয়ে তার নামে পাঁচ বিঘা জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন যা শুধু দুঃখ জনকই না নিন্দনীয়।
জমির আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাক সহ মোটমূল্য ৬ কোটি টাকা। গত ২২/০৯-২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি কর্তৃক একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন যার ভিতরে তদন্তকারী কর্মকর্তা জাল জালিয়াতির প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান।