আর ললিপপ নয়, তাই ৫০ হাজার শূন্যপদের দাবীতে রাজপথে হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও
শম্পা দাস , কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১৬ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায়- ২০২২ প্রাথমিক টেট পাস ডি এল এড ঐক্যমঞ্চের আহবানে ও নওসদ সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে, শিয়ালদহ ডি টি ডি সি মেট্রো গেটের বাইরে- কয়েকশো হবু শিক্ষক শিক্ষিকা জমায়েত হয়ে, ৫০০০০ শূন্য পদের দাবী নিয়ে , শিয়ালদা স্টেশন থেকে বিভিন্ন স্লোগানের মধ্য দিয়ে মিছিল করে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ মানববন্ধন এর মধ্য দিয়ে ওয়াই চ্যানেলে এই বিশাল মিছিল শেষ করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে যান।
এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী, বিদেশ গাজী, পার্থনাথ বণিক, সুভাষ চন্দন বাদশাহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তাদের একটাই দাবী আর নয় ললিপপ, অবিলম্বে পঞ্চাশ হাজার শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, ১৩ হাজার ৪২১ এর ললিপপ এ আমরা ভুলবো না, অবিলম্বে প্রাথমিক স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষামন্ত্রীর ভাষায় ১৩৪২১ টি শূন্য পদ পাইয়ে দেওয়ার চক্রান্ত আমরা মানবো না, তাই আজ আবারো মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্মরণ করে দিতে চাই, যদি ভোটের আগে ৫০০০০ শূন্যপদপূরণ না হয় , এবং প্রতিটি স্কুলে একজন করে অন্তত শিক্ষক নিয়োগ না হয়, আমরা পরিবার নিয়ে পথে নামবো। তাই আমরা এখনও বিশ্বাস করি মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী আমাদের কথা ভাববেন। অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচান, সমস্ত স্কুল বন্ধ হতে বসেছে, কোন স্কুলে শিক্ষক একজন আবার কোথাও নায়, আমরা টাকা খরচা করে পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিয়ে আজ পথে, সরকার নির্বাক, দপ্তরে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি, সরকারের ও শিক্ষামন্ত্রীর কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।
তাহারা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষক পদে লক্ষাধিক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও, প্রাথমিকে মাত্র ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, বিকাশ ভবনের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ২১১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নাই, কোথাও বা একজন রয়েছে, অথচ আমাদেরকে এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ললিপপ দেখাচ্ছেন, আমাদের ৫০ হাজার শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আমরা ওতে ভুলবো না। তাই রাজপথে নেমেছি।
নওসদ সিদ্দিকী বলেন, আমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর দাবী নিয়ে হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তিনি আরো বলেন ২০১২ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে, দেড় লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে, সেখানে ওয়ান থার ৫০০০০ শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করা দরকার। আস্তে আস্তে পশ্চিমবাংলায় বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেভাবে ধ্বংস করেছেন, আর ধ্বংস হতে দেব না , আর কতই বা আপনারা ধ্বংস করবেন, তাই আজকের মিছিল থেকে জানিয়ে দিতে চাই, যদি এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের অবিলম্বে শূন্য পদ পুরন না হয়, তাহলে আগামী দিনে , হবু শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিবারসহ মন কি সিভিল সোসাইটির সমস্ত মানুষজন পথে নামবে, সেই দিন কিন্তু আপনি আটকে রাখতে পারবেন না, আর বিকাশ ভবনে কি ঘটেছিল আপনি জানেন, এবার আমাদের আটকে রাখতে পারবে না,
একটা কথা জেনে রাখবেন, এই সকল হবু শিক্ষকের পরিবার, কেউ দিনমজুর,কেউ ঘরামি, রাজমিস্ত্রি, কেউ চাষবাস করে তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন, তাই সেই সকল পরিবারের কথা ভেবে এবং যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা পথে নেমেছে তাদের কথা ভেবে আমি পাশে আছি, আজ প্রতিবন্ধী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পথে নেমেছেন।