বীরগঞ্জে ক্ষুদে বৈজ্ঞানিক কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা, স্থানীয়দের তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী মোস্তফার স্ত্রী জয়নব বেগম ও ইউপি চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দেবশর্মার সৃষ্ট নাটকে ষড়যন্ত্রের শিকার ঐ এলাকার সোনাবর দিঘির চাঁন মিয়ার ছেলে সৎ, কর্মঠ, মেধাবী ক্ষুদে বৈজ্ঞানিক হিসেবে বহুল পরিচিত জাকিরুল ইসলাম (২৫).
জানা যায়, প্রবাসী মোস্তফা এখন নিজ বাড়িতেই বসবাস করছেন বর্তমানে তার ছেলে জয়নাল মালেশিয়ায় চাকুরী করে।
এলাকার অসংখ্য অগনিত মানুষ জানান মোস্তফার স্ত্রী জয়নব চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দেবশর্মার কু-পরামর্শে একজন নিরিহ ভাল মনের সৎ প্রতিভাবান, জুলাই যোদ্ধা ও পঙ্গু, সুনাধন্য ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে ফাঁসনোর ফন্দি এবং পুলিশ দিয়ে দিনরাত হয়রানি করছে।
কোন প্রকার মামলা কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানা অথবা আদালতের আদেশ ছাড়াই বীরগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জাকিরুলের অনুপোস্থিতিতে গভীর রাতে তার বাড়ির শয়ন ঘরে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা জাকিরের স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা এর পিছনে চেয়ারম্যান গোপালের ইন্ধন রয়েছে।
গোপাল চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, নারী লোভী লম্পট এমপি গোপালের মদদে এলাকার অনেক নিরিহ পরিবারকে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র মূলক সীমাহীন হয়রানি করেছে। তারা ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোনাবর দিঘির মার্কেট মালিক খোরশেদ আলী বলেন মোস্তফার স্ত্রী জয়নব ইতিপূর্বেও তার নিজের শ্বশুরকে হাত-পা বেঁধে শীতের রাতে জঙ্গলে ফেলে রেখে অন্যকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। মুরগীর জবাই করে সেই রক্ত দেখিয়ে হত্যা মামলার নাটক সাজিয়েছিল।
গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে সরজমিনে গেলে জয়নব বেগম জানান ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত ভোর রাতে একজন চোর তাদের বাড়ির উচু বাউন্ডারী প্রাচীর টপকিয়ে বাড়িতে ঢুকে।
চেতনা নাশক পান করায় তার স্বামী ও পুত্রবধুসহ বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা অচৈতন্য অবস্থায় নিথর হয়ে পড়েছিল।
সুযোগ পেয়ে সন্দেহ ভাজন চোর জাকির হোসেন ঘরে ঢুকে বিছানাপত্র তছনছ করে নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও ২ ভরি সোনা, ৭ ভরি রূপা চুরি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি প্রথমে চেয়ারম্যান গোপাল দেব শর্মা কে অবগত করি এবং আমার স্বামী সুস্থ হলে তাকে দিয়ে থানায় অভিযোগ করাই। কিন্তু পুলিশ কখন জাকিরের বাড়িতে গিয়েছিল আমাদের জানা নেই।
কিন্তু চুরির ঘটনা প্রতিবেশীরা কেউ বলতেই পারে না এমন কি তার স্বামী মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন আমি তো অজ্ঞান ছিলাম তাই কিছুই জানিনা, তাহলে থানায় অভিযোগ করেছেন কেন, জবাবে ঘটনাটি তার স্ত্রী জয়নবের কাছে শুনতে বলেন।
বাজারের শত শত এলাকাবাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দেবশর্মার সাথে কথা হলে তিনি জানান উভয় পরিবার আমার গ্রামের বাসিন্দা, জাকির একজন পঙ্গু এবং খেটে খাওয়া ভাল মেধাবী ছেলে, মোস্তফার বাড়ি চুরির ঘটনা এবং থানা পুলিশ কখন তার বাড়ি ঘরে অভিযান চালিয়েছে আমার জানা নেই।
পুলিশ অফিসার এস আই শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গভীর রাতে জাকিরের বাড়ির শয়ন ঘর তল্লাশী করে অভিযান চালানের কথা স্বীকার করেছেন।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর বিষয়টি অবগত আছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।