রাত পোহালেই কজাগরী লক্ষ্মীপুজো- কুমোরটুলিতে লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে ভিড় জমিয়েছে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ ,
আজ ৫ই অক্টোবর রবিবার, রাত পোহালেই কজাগরী লক্ষ্মী পুজো, মাকে বিদায় দেওয়ার সাথে সাথে, ঘরে ঘরে লক্ষ্মী প্রতিমাকে পুজো করবেন। শুধু ঘরে ঘরে নয়- প্রতিটি ক্লাবে ক্লাবেও পূজিত হবে লক্ষ্মী প্রতিমা। তাই ভিড় জমিয়েছে একদিকে কুমারটুলি পাড়ায়, অন্যদিকে হাটে ও বাজারে কেনাকাটার জন্য।
তবে এই বছর কুমারটুলিতে ভিন্ন রকমের লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি হয়েছে। আর্টের প্রতিমা থেকে শুরু করে একচালা প্রতিমা ও সাবেকী প্রতিমা , তবে বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তাদের দেখা গেলো আর্টের প্রতিমা কিনতে, এমন কি বাড়ির পরিবারদেরও, ছাড়াও দেখা গেল কুমারটুলিতে মাটির চালচিত্রের উপর তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রতিমা, এবং প্রতিমা অনুপাতে মৃতশিল্পীরা দাম রেখেছেন।
কিন্তু ক্রেতারা কিনতে এসে এবং পছন্দসৈই লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে গিয়ে বাজেট বাড়াতে হচ্ছে। কারণ প্রতিবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সাথে সাথে, প্রতিমার দাম বেড়ে যায়, এবারে প্রতিমা কিনতে এসে মিনিমাম সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে শুরুকরে পনেরশো, দুই হাজার, আড়াই হাজার, এবং এর ঊর্ধ্বে পর্যন্ত দামের প্রতিমা রয়েছে। তেমনি চাঁদ মালা থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রীর দামও আগুন।
অন্যদিকে লক্ষ্মী প্রতিমার উপকরণ ফলমূল কিনতে গিয়ে সেখানেও একই অবস্থা পুজো উদ্যোক্তাদের ।
গাঁদা ফুল পার চেনের দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পদ্মফুল পার পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ডাব মিনিমাম ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, নারকেল মিনিমাম ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কলা গাছ পারপিস ৩০ টাকা, আপেল ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা, বেদানা ২০০ টিকে আড়াইশো টাকা, কলা ডজন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, পেয়ারা ১০০ টাকা থেকে একশো কুড়ি টাকা, এইভাবে প্রতিটা জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে।
পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন কিছু করার নাই, মায়ের পূজো যেভাবে হোক করতে হবে, তাই সামর্থ্য মতো আমাদেরকে কেনাকাটা করতে হচ্ছে। একটা কথাই বলব সবাইকে লক্ষ্মী মা যেন বিপদ থেকে মুক্ত করেন, সবাইকে ভালো রাখেন। ঘরে ঘরে পূজীত হোক লক্ষী মা ।