কলকাতা পৌরসভা ও রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতিতে, বর্ষায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু ঘটায়- প্রতিবাদ মিছিল।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ৫ই অক্টোবর রবিবার, ঠিক দুপুর দুটোয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ও নাগরিকদের সহযোগিতায় প্রতিবাদ মিছিল। পুজোর মুখে প্রবল বর্ষণে , পৌরসভার ও প্রশাসনের গাফিলতিতে এবং ব্যর্থতায় কলকাতা সহ জেলায় পুজোর মুখে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নাগরিকদের অকাল মৃত্যু ঘটায়, তাহার প্রতিবাদে এবং কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম কে গ্রেপ্তারের দাবীতে, কলেজ স্কোয়ার থেকে কয়েকশো নাগরিকদের প্রতিবাদ মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ শেষ হয় এবং একটি প্রতিবাদ সভা করেন।
এই মিছিলে ও সভায় অংশগ্রহণ করেন, বিরোধী দলনেতা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, বিরোধী নেতা তাপস রায়, তমগ্ন ঘোষ, অর্জুন সিং সহ একাধিক নেতা ও নেতৃবৃন্দ।
মিছিলে একটাই দাবী নিরীহ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া, পৌরসভায় দিনের পর দিন গাফিলতির অভিযোগ, সি ই এস সির উপর দোষ চাপিয়ে দোসকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা, ডিভিসির নামে মিথ্যা অপপ্রচার, এবং পুজোর মুখে এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার পরেও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও মহানগরী ফিরাদ হাকিম চুপ করে বসে আছেন, এতগুলো প্রাণ বিনা কারণে নিজেদের গাভীর জন্য গেল তার কোন মানবিকতা দেখার নেই পরিবারের কাছে, অথচ আজ পুজোয় মেতে উঠেছেন, কার্নিভাল করছেন, গরিবের রক্ত জল করা , শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পথে বসানো, এবং চাকরির টাকা আত্মসাৎ করে তাদের পথে বসিয়ে , পুজোর অনুদানে মেতেছেন। অথচ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেলো তাদের পরিবারের কথা একবারও ভাবেননি, শুধু মস্তান গুন্ডো দিয়ে তলা তোলা, আর প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে গাড়ি থেকে টাকা তোলা, এই তৃণমূল সরকারের কাজকর্ম, তাই প্রশাসনকে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, যে সরকার ডিএ টাকা দিতে পারেনা, সেই সরকার অনুদান দেয় পুজো ক্লাব গুলিকে কি ভাবে, জনগণের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আর না ভাবতে শিখুন, বুঝতে শিখুন, এই সরকারকে পথে নামাতে জোটবদ্ধ হন, পিসি ভাইপোকে পথে টেনে নামিয়া আনুন, তাহাদের মুখোশ গুলো সবার সামনে তুলে ধরুন, আর ২০২৬ এর ভোটে জবাব দিন।
মিছিল যত পৌরসভার কাছে এগিয়ে আসে, প্রতিবাদীরা আরো জোর কণ্ঠস্বরে বলে ওঠেন, চোর চোর চোর, চোরের সরকার, পিসি চোর ,ভাইপো চোর, ফিরহাদ হাকিম চোর, কর্পোরশনের সমস্ত কিছু লুট করে খাচ্ছে, সবকিছুতে সাধারণ মানুষকে পথে বসাচ্ছে, তাই যেভাবে এতগুলো নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হলো তার জন্য অবিলম্বে কলকাতার মহানগরিক ফিরাদ হাকিম কে গ্রেফতার করা হোক। আর যতদিন না গ্রেফতার করা হবে আমরা এইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন নাকি ৯৯ শতাংশ নিকাশি ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আর কত মিথ্যা কথা বলবেন, যখনই কিছু হয় বা ঘটে, তখন বাইরের দেশকে তুলে নিজের সমস্ত দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, এই হচ্ছে তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর চাল, কোনদিনও নিজের দোষ বলেন না ও ধরেন না, একটানা একটা অজুহাত তুলে ধরে সাধারন মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, আর না সাধারণ মানুষ বুঝতে শিখেছে, প্রতিবাদ করতে শিখেছে, তাই ২৬ শে আপনাকে সঠিক জবাব দেবে। আর বেশি দিন নাই, যা করার করে নিন। আর যত মিথ্যে কথা বলার বলে নিন।