দ্বিতীয় দিনেও ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হলেও , পূজো উদ্যোক্তারা খুশি নয় ।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ,
আজ ৩রা অক্টোবর শুক্রবার প্রতিমা নিরঞ্জনের দ্বিতীয় দিন, তাই ঘাটে ঘাটে চলছে শয়ে শয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন, যত বাড়ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নিয়ে আসছেন ঘাটে ঘাটে।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন রবিবারের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা ফেলে দিতে হবে।, এই মতো ক্লাব উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন, আবার কেউ কেউ প্রতিমার সামনে বাজনার সাথে তাল মিলিয়ে নাচছেন আর বলছেন বলো দুর্গা মাইকি,
প্রতিমা নিয়ে আনন্দ করে ঘাটে আসলেও, এবারে প্রতিমা নিরঞ্জনে খুশী নয় ক্লাব উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা। তাহাদের প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে , কষ্ট ঢাকতে না পেরে তারা চোখের জল ফেললেন। এবং বলে উঠলেন মা আমাদের ক্ষমা করো , অনেক উদ্যোক্তা কুলিদের উপর রাগে ফেটে পড়েছিলেন এমনকি কথাও শোনাচ্ছিলেন, কিন্তু তারা বারবার একটি কথা বললেন আমাদের কিছু করার নাই দেখতেই তো পারছেন, আমাদের যেভাবে বলেছে সেভাবে ফেলতে হবে এবং কাজ করতে হবে।।
বাজে প্রতাপ ঘাট অর্থাৎ বাবুঘাট বলে পরিচিত যে ঘাট, প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ক্লাব উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বাড়ির পুজোর কর্ত্রীদের চক্ষু চরক গাছ, যাহা কোন বছর ঘটেনি, এমনভাবে প্রশাসনের ও কেএম সির লোকেরা ঘাটটিকে ঘেড়েছেন, প্রতিমা জলে ফেলা তো দূরের কথা, সমস্ত প্রতিমাকে মাটির মধ্যে মুখ থাবড়ে ফেলা হচ্ছে। এমা আমাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য আসলো, এইভাবে বিদায় জানাতে হচ্ছে, প্রতিটি প্রতিমাকে মাটির উপর মুখ থাবড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে পাপ, প্রতিমার উপর প্রতিমাকে ফেলে দিয়ে চলে যেতে হচ্ছে, আর সেই প্রতিমাকে সাথে সাথে ট্রেন ও বুলডোজার এর সাহায্যে তুলে অন্যত্র সরিয়ে দুমড়ে মুছরে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে খেলা হচ্ছে আমাদের কষ্ট ধরে রাখতে পারিনি তাই মাকে চোখের জলে বিদায় জানিয়ে, একটা প্রার্থনা করলাম, তুমি যেন আমাদের ভালো রেখো, আমাদের অপরাধী করো না।
মাঝে মাঝে দেখা দেখা গেছে পোর্ট থানার ডিসিকে পরিদর্শন করতে, এবং অন্যান্য অফিসারদের, যাহাতে এইরকম অবস্থায় কোন রকম গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয়, কে এম সির তরফ থেকে অফিসাররা সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছিলেন এবং মাইকিং করে ও সতর্ক করে দিচ্ছিলেন, কাউকেই জলে না আমার নির্দেশ দেন কারণ, যেখানে প্রতিমা ফেলা হচ্ছে পুরোটাই কাদা, যাহাতে প্রতিমা নিয়ে কোনভাবে পিছলে পড়তে না পারে, মাঝে মাঝে ঝাঁটা দিয়ে মেশিনের দ্বারা জল ছিটিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন।
পূজো উদ্যোক্তারা জানালেন আমরা কোনদিন আশা করিনি এইভাবে বিসর্জন দিতে হবে। এটা আমাদের কাছে এবারে প্রথম, প্রতিমা ফেলতে এসে চোখের সামনে দেখলাম, মাকে আমরা কিভাবে কষ্ট দিয়ে বিদায় দিচ্ছি, প্রতিটি প্রতিমাকে মাটির উপরে মুখ থুবড়ে ফেলা হচ্ছে। আগে কখনো এইরকম হয়নি, তাই সরকার ,পৌরসভা ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো, আগামী দিনে এইভাবে যেন মাকে বিদায় না জানাতে হয়। আজকে আমরা মাকে খেলতে এসে যেভাবে কষ্ট পেলাম,