১২ তম বর্ষে- প্রতিমার শুভ উদ্বোধন ও বস্ত্র বিতরণ করলেন- বিধায়িকা সুপ্তি পান্ডে ।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৫ শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, আজ মহা চতুর্থী, ফুলবাগান সিআইটি স্কীমের অন্তর্গত, স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির শুভ তৃতীয়ায়, ১২ তম বর্ষের প্রতিমার উদঘাটন ও বস্ত্র বিতরণ করলেন এলাকার বিধায়কা সুপ্তি পান্ডে , উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী ও সমাজসেবী শ্রেয়া পান্ডে।
ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার শুভ সূচনা হয়, এরপর অতিথীদের একে একে উত্তরীয় পড়িয়ে ও হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন।
১২ তম বর্ষে স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়িকা সুপ্তি পান্ডে, তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী ও সমাজসেবী শ্রেয়া পান্ডে, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মলয় দাস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডা: শ্রীকুমার মিশ্র, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, পৌর প্রতিনিধি এমআইসি জীবন সাহা, প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি পবিত্র বিশ্বাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী কল্যাণ শুক্লা, বিশিষ্ট সমাজসেবী অপু মুখার্জি,
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা অমল হাজরা, সহযোগী ও চিত্র শিল্পী অতনু হাজরা, রতন সাহা , অলোক গুপ্তা, সুবীর বিশ্বাস, গৌর ঘোষ, তনুশ্রী হাজরা, পরিকল্পনায় সংবর্ত জানা সহ অন্যান্যরা।
এই শুভ সূচনায় স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি, একটি সুন্দর কর্মকান্ডের মেতে উঠলেন, এবং বিধায়িকা সুপ্তি পান্ডে ও শ্রেয়া পাণ্ডের হাত দিয়ে প্রায় দেড়শো র মতো বস্ত্র অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিলেন, তারা জানালেন আমাদের যেটুকু সামর্থ্য আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আগামী দিনে আশা করছি আরও কিছুকে আমরা এই বস্ত্র তুলে দেবো।
১২ তম বছরের এবারের ভাবনা- “পাঁজর”- এই ভাবনার মধ্য দিয়ে তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের এবং ঘরামী মিস্ত্রি ও শিল্পীদের কথা তুলে ধরেছেন, যাদের মধ্যে কোন আনন্দ থাকে না, সারা বছর রোদে ঘামে ঝড়-বৃষ্টিতে পেটের জ্বালায় কাজ করে বেড়ায়, পেটের জ্বালায় ভিন দেশে পাড়ি দেয়, যাদের কথা কেউ মনে রাখে না, যাদেরকে প্রতি মুহূর্তে আমাদের কাজে লাগে, যাহারা আমাদের ঘর বাড়ী, আসবাবপত্র তৈরি করে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে, এবং যে সকল যন্ত্র গুলি তাদের কাজ করতে লাগে, যারা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেয়, আমরা তাদের সেই ভাবনাকে চিত্রের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছি, এবং জনগণকে বার্তা দিতে চলেছি , সবাই যদি একি ভাবে এদের কথা ভাবতো, তাহলে হয়তো আরো উৎসাহ পেতো,
আজ স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি, প্রতিমার শুভ সূচনা করেই চুপ থাকেন নি, তাহারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই সকল মানুষদের সম্মানিত করেছেন। তাহাদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছেন ,
এইভাবে স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি , প্রতিবছর একটি করে নতুন ভাবনা নিয়ে এসে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, এ ছাড়াও তারা সারা বছর রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞে মেতে থাকেন, আজকের অনুষ্ঠানে সভার উপস্থিতিতে, চতুর্দিক আলোকিত হয়ে উঠেছিল, এবারও তারা আশা করেন বড় বড় পূজো মণ্ডপ কে টেক্কা দিয়ে এবারও বেশ কিছু সম্মান ছিনিয়ে নেবেন, সর্বশেষে সকলকে শুভ শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানালেন। অমল হায়দার একটি কথাই বলেন, আয় সবাই পাশে উৎসাহ দেয় বলেই এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে পারি। এবং পুজোকে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারি।,তাই সকলের সহযোগীতা একান্ত কাম্য। দর্শকদের উদ্দেশ্যে জানান, সবাই আসুন আনন্দ উপভোগ করুন, ।