একদিকে কুমারটুলিতে বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিতে উদ্যোক্তাদের ভীড়– অন্যদিকে পূজোর কেনাকাটায় মার্কেট জমজমাট।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
১৫ই সেপ্টেম্বর সোমবার, সকাল থেকেই একদিকে জমে উঠেছে কুমারটুলিতে উদ্যোক্তাদের ভীড়, চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়, মৃৎশিল্পীরাও প্রতিমার কাজ শেষ করতে ব্যস্ত।, আবার কিছু মৃৎশিল্পীকে দেখা যায় রাস্তার ধারে প্রতিমা সাজিয়ে বসে থাকতে, কারণ মাঝে আর একটা দিন বাকী, তারপর সবাই মেতে উঠবে বিশ্বকর্মা প্রতিমাযর পুজোয়, কলকারখানা থেকে শুরু করে, বাস মালিক ,টোটো মালিক, রিক্সাওয়ালা এমনকি বিভিন্ন কল কারখানার অন্যান্য সমস্ত শ্রমিক কর্মচারীরা তিন দিন ধরে মাতবেন বিশ্বকর্মা পুজোতে, আই তাহারা সকাল থেকেই প্রতিমা নিতে ভিড় জমিয়েছেন কুমারটুলিতে,
কুমারটুলি থেকে একে একে প্রতিমা পাড়ী দিচ্ছেন কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় , যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিমা অর্ডার দিয়েছিলেন ,আবার কেউ কেউ রেডি ঠাকুর কিনতে এসেছেন। কিন্তু প্রতিবারই কিনতে এসে যেটা ঘটে থাকে সেটা হচ্ছে প্রতিমার দাম, প্রতি বছরই প্রতিমার দাম আগুন, ফলে ক্রেতারা কিছুটা অসুবিধায় পড়েন, কারণ তাদের বাজেট ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য, তো কিছু করার থাকে না, প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে আমাদেরও কিছু করার নেই। বাধ্য হতে হয় দাম বাড়াতে, তবে এবারে পুজোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে বাঙ্গালীদের বড় উৎসব দুর্গাপুজো পড়ে যাওয়ায়, মার্কেটে মার্কেটে ক্রেতাদের জনজোয়ার চোখে পড়ার মতো, কিছু দিকে বৃদ্ধ বণিতা ও তার মা বাবা, দূরদূরান্ত থেকে তারা পুজোর কেনাকাটা করতে ভীড় জমিয়েছেন শপিংমল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটে, এমনটাই আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো, নিউমার্কেট ,গড়িয়া মার্কেট, গড়িয়াহাট মার্কেট, শ্যামবাজার মার্কেট, বেহালা মার্কেট, হাওড়া মার্কেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন শপিং মল, পুলিশ প্রশাসনেরাও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের সামলাতে।
ভীড় সামলাতে ও ক্রেতাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার সতর্ক ও সহযোগিতার কথা বলছেন।, এমনকি মাইকিং করে জানিয়ে দিচ্ছেন, যাহারা কেনাকাটা করতে এসেছেন, অতি অবশ্যই তাহাদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, নিজের দায়িত্বে রাখবেন, এমনকি বাচ্চাদের হাত ছাড়িবেন না। কিছু অসাধু ব্যক্তি এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। পুজো মানেই নতুন জামা প্যান্ট, তেমনি বিভিন্ন মার্কেটে শপিংমলে দেখা গেল বিভিন্ন অফার ক্রেতাদের জন্য, প্যাকেজের উপরে তারা বিভিন্ন গিফট দেওয়ার আয়োজন করেছেন, কিন্তু প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে কিছুটা ক্রেতারা অসস্তিতে পড়েছেন, তবুও তারা কেনাকাটা করতে ছাড়েননি, কারণ পুজো আর বেশি দেরী নাই। বিক্রেতারাও চেষ্টা করেছেন বৃষ্টির মধ্যেও ক্রেতাদের মনের জিনিস দেখানোর।
আর কয়েকটা দিন বাদেই বেজে উঠবে মহালয়ার সুর ও এবং প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বেজে উঠবে উদ্বোধনের সংগীত। আর মহালয়া মানেই পুজো শুরু,