
হকারদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে- হকার মিছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের নিকট ডেপুটেশন ।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, আজ ২০ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর তিনটায়, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রীট হকার্স ফেডারেশন (সি আই টি ইউ এর ডাকে)। হকারদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে হকার মিছিল করলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের নিকট ডেপুটেশন দিলেন। তাহাদের দাবী সকল হকারদের লাইসেন্স দিতে হবে,
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রীট হকার্স ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সত্যব্রত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক প্রসূন দাশগুপ্ত, জেনারেল সেক্রেটারী গোপাল দাস, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, হীরালাল সিংহ, দেবাশীষ দেব, নির্মল ঘোষ, গার্গী চ্যাটার্জি, রাজকুমার রায়, অচ্ছুত চক্রবর্তী, দেবাশীষ রায়, অভিজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
বেশ কিছু দাবী নিয়েই মিছিল করে তারা কর্পোরেশনের সামনে হাজির হন এবং সেখান থেকে তারা মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়র কে ডেপুটেশন দেন, কিন্তু মেয়র না থাকায় তারা , সদস্য ও মেয়র পরিষদ , হকার বিষয়ক দেবাশীষ কুমারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।
তাহাদের দাবীগুলি হলো–
সব হকার কে লাইসেন্স দিতে হবে এবং লাইসেন্স পাওয়া হকারদের লাইসেন্স রিনিউ করতে হবে।।
বিভিন্ন জায়গায় হকার উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে,
উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় হকার আইন মেনে ভেন্ডিং কমিটি তৈরি করতে হবে।
হকারদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
হকারদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্যোক্তার বলেন, যেভাবে হকারদের উপর অত্যাচার চলছে, বুলডোজার দিয়ে দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে, এবং তাদের রুজি রোজগারে হাত ফেলছে, আমরা বরদাস্ত করবো না ,অবিলম্বে সমস্ত কিছু বন্ধ করতে হবে। আমরা বারবার ডেপুটেশন দিয়ে কোন কাজ না হওয়ায়, পুনরায় আমরা আজকে ডেপুটেশন দিতে এসেছি, আশা করি বিবেচনা করে দেখবে, যদি না হয় ,হলে বাধ্য হব হকারদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করতে, আমরা এমনও দেখেছি প্রোমোটারদের বাঁচাতে হকারদের দোকান সামনে থেকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।, এমনকি বুলডোজার রাখা হয়েছিল জিনিসগুলিকে সরিয়ে ফেলা হকাররা সরে গেলে। সরকার চাকরি দিতে পারছে না, দিনে দিনে বেকারত্ব বাড়ছে, আর সেই সকল বেকাররা সামান্য জায়গার উপর কোন রকমে ব্যবসা করে তাদের সংসার প্রতিপালন করছেন।, আর সরকারের লোকেরা ও প্রশাসনের লোকেরা এবং দালালরা তাদের পেটে লাথি মারছে, বড় বড় দোকানের মালিকদের কিছু বলছে না, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের উপর চোড়াও হচ্ছে বারবার, প্রশাসনও মাঝে মাঝে নিজেদের পাওনা আদায় এর জন্য রেড করছে, আজ ছোট ছোট দোকান থেকে সাধারণ মানুষ তাদের সাধ্যের মধ্যে কেউ খাবার কিনছে কেউ ছেলেমেয়েদের জন্য পোশাক কিনছে।, আর সেই রোজকারের লভ্যাংশে কিছু ফ্যামিলি চলছে, অথচ সরকার চাকরির না দিয়ে সেই সকল গরীব মানুষের উপর ব্যবসায়ীদের উপর চোরাও হচ্ছেন ,তাদের দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। আমরা হতে দেব না
অবিলম্বে হকারদের সমস্ত দাবী পূরণ করতে হবে। আজ এই বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে হকাররা উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েকশো। তাহারা মিছিলে পা মেলান।