
ভেড়ামারায় জাসদ কর্তৃক বিএনপি‘র উপর হামলা
মোহন আলী স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া।
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে চন্ডিপুরে জাসদ কর্তিক বিএনপির উপর হামলা অন্তত ১৫ জন আহত। পুলিশের ব্যাপক অভিযান।
আজ সোমবার কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজারে বেলা অনুমান ১১ টার দিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। উক্ত সংঘর্ষে বিএনপির প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হন। আহতদের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১৫ জন হতে পারে। এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাকের ছেলে ফাহিম এবং তকাই এর ছেলে রিফাতের মধ্যে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে বাজারে থাকা লোকজন দুইপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং উভয়পক্ষ শক্তি সঞ্চয় করে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় লাঠি সোটা রড এবং হাতুড়ির আঘাতে বিএনপি পক্ষের রবিউল ইসলাম রবি (৪৫) পিতা-মৃত খলিল, মোঃ সিয়াম (বয়স ২৫)পিতা রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম (তোকায়), (বয়স ৪৬) মোঃসিরাজ (বয়স ৫০) পিতা রবজেল মালিতা,
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাজারে থমথমে সৃষ্টি হয়। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়। তল্লাশিকালে কারো বাড়ি থেকে আপত্তিকর কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আটক নেই। তবে বাজারে জনৈক্য শওকতের চায়ের দোকান থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ। চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বলেন, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে জাসদ এখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ তৎপর হয়। এ সময় বিএনপি দলীয় কিছু নেতাকর্মী এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার জন্য তাদেরকে বিক্ষোভ করতে নিষেধ করে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে জাসদের নেতাকর্মীরা বিএনপি লোকজনের উপরে হামলা করে। তিনি এ ঘটনার জন্য স্থানীয় জাসদ নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এনামুল হক বলেন পুলিশ এ ঘটনার ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রব তালুকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চন্ডিপুরে মারামারি ঘটনার সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ও অফিসার ও ফোর্স সহ তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনা যাতে বিস্তৃত আকার ধারণ না করে সে জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পুলিশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিএনপি’র পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের।