
আমরা পদাতিক আয়োজিত- যৌনকর্মী বাচ্চাদের নিয়ে শিশু দিবস উদযাপন ও সিনেমার পোস্টার লঞ্চ।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১৪ই নভেম্বর শুক্রবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, মসজিদ বাড়ী লেনের সংযোগস্থলে, আমরা পদাতিক- আয়োজিত, সুন্দর একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, প্রায় দেড়শোরও বেশি যৌনকর্মী বাচ্চাদের নিয়ে , শিশু দিবস উদযাপন করলেন, এবং একটি বাংলা সিনেমা হাঁটি হাঁটি পা পা এর পোস্টার লঞ্চ করলেন, সাথে সাথে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিশুকে হাঁটি হাঁটি পা পা গেঞ্জি উপহার দিলেন।।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী নতুন সিনেমা হাঁটি হাঁটি পা পা এর রুক্মিনী মৈত্র, অভিনেত্রী শিল্পী চক্রবর্তী, বটতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবর্ণ দত্ত চৌধুরী, কে সি দাসের কর্ণধার জয় মিত্র, ইনার হুইলের মধুছন্দা দত্ত, উপস্থিত ছিলেন মহাশ্বেতা মুখার্জি, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আমরা পদাতিকের ভারতী দে, পূজা রায়, শতাব্দী সাহা , অরুনাভ মিদ্যা এবং সঞ্চালনায় রতন সহ পদাতিকে র অন্যান্য সকল সদস্যগণ।
অনুষ্ঠান শুরুর পর্বে, একে একে সকল অতিথিদের মঞ্চে বরণ করে নেন এবং তাদের হাতে সড়ক তুলে দেন, এরপর প্রায় দেড়শরও বেশি বাচ্চাদের হাতে ইনার হুইল ও পদাতিকে তরফ থেকে ছোটদের গিফট ও মিষ্টি এবং মেয়েদের হাতে চুরিদার তুলে দেন,
আজকের অনুষ্ঠানে সকল যৌনকর্মীর ছেলেমেয়েরা নাচ গান নাটকের মধ্য দিয়ে ভরিয়ে তুলেন মঞ্চ।
হাঁটি হাঁটি পা পা এর অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র বেলুন উড়িয়ে, এই ছবির পোস্টার শুভ সূচনা করেন, শুধু তাই নয় বেশ কিছুক্ষন বাচ্চাদের নিয়ে নাচে গানে মেতে উঠেছিলেন, এরপর তাকে স্মারক উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা জানান,
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি এইরকম একটি জায়গায় আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি এবং এদের পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি , কারণ এরাও আমাদের সন্তান, আর আমি যতদিন কলকাতায় থাকবো এই দিনটিকে ভুলবো না এদের সামনে প্রতিবারই আসবো, আমার অভিনীত যত সিনেমা তৈরি হবে তার একটি অংশ এখানে উদযাপন করবো। শুধু একটা কথাই ছোট ছোট ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে জানাই, কেউ আলাদা নয়, আমরা সবাই মায়ের সন্তান, তাই তোমরা পড়াশোনা করো, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করো, সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াও, আমরা সবাই তোমাদের পাশে আছি।
আমরা পদাতিকের তরফ থেকে একটা কথাই জানালেন, আমরা শুধু শিশু দিবস পালন করি তাই নয়, আমরা চেষ্টা করি এই যৌনপল্লীতে, বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকলের মনে হাসি ফুটাতে। তার সাথে সাথে একটি ট্যাক লাইন ব্যবহার করেছেন সকলের উদ্দেশ্যে।
চাপা আছে পুরানো ব্যথা- বাঁচার নতুন মানে- একমুঠো অধিকারের স্বাদ- যৌনকর্মীর সন্তানেরাই যানে ।
যৌনকর্মীর বাচ্চাদের মনে যে ব্যথা সেই ব্যথাকে , তুলে ধরলেন পদাতিকের তরফ থেকে।