
সরিষাবাড়ী হাসপাতাল কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
সরিষাবাড়ী( জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতাল কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৪ঠা নভেম্বর) সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেবাশীষ রাজবংশী স্বাক্ষরিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উক্ত তদন্ত কমিটিতে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: বিচিত্রা রাণী দে কে সভাপতি ও মেডিকেল অফিসার ডা: রবিউল ইসলাম কে সদস্য সচিব এবং সিনিয়র নার্স সুবেদা খাতুন কে সদস্য করা হয়েছে।
এ দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নী কান্ডের কারন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য সোমবার (৩ রা নভেম্বর) ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহছেন উদ্দিন। উক্ত কমিটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কে আহবায়ক করে, ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর সিনিয়র ষ্ট্রেশন অফিসার কে সদস্য সচিব এবং সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ,নির্বাহী প্রকৌশলী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সরিষাবাড়ী, সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস এর এজিএম এ্যান্ডকম সৌরভ কুমার রায় কে সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত তদন্ত কমিটি কে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহছেন উদ্দিন।
গত সোমবার (৩রা নভেম্বর) বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পাশের একটি কক্ষে এনালগ বৈদ্যুতিক বাল্বের উতপ্ত হয়ে বাল্ব এর নিচে স্তুপি করে রাখা কাটুনে আগুন ধরলে এ অগ্নীকান্ডের সূত্রপাত হয়।খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অগ্নিকাণ্ডের ১৫ মিনিট সময় পূর্বে স্থানীয় পৌর সভার বীর ধানাটা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী রত্না বেগম এর গর্ভ থেকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যামে বাচ্ছা প্রসবের কাজ চলছিল। এ অপারেশনে অংশ নেন গাইনি ডাক্তার মুন্নি, এনেস্থেশিয়া কনসালটেন্ট শাহরিয়ার ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী ওবায়দুল্লাহ, ওয়ার্ড বয় ফরিদ এবং সিনিয়র নার্স সুবেদা খাতুন। এ সময় নবজাতক কে গর্ভ থেকে সিজারের মাধ্যমে বের করার পরপরই হঠাৎ ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আতঙ্কে হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজন এবং সেবা প্রত্যাশীরা দৌড়া দৌডি ও হৈ-চৈ করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। এর পরেও সিজারিয়ান মা ও নবজাতক অল্পের জন্য বেচে গিয়ে সুস্থ রয়েছেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।