৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করলো “প্রগতি সংঘ” এবারে তাদের ভাবনা- শক্তি “রূপেন সংস্থিতা” ।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৩শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার, দীপাবলি উৎসব মানেই আলোর রসনায় ও বারুদের গন্ধ, আকাশে বাতাসে রঙিন আলোর ফুলঝুরি। আর এই দীপাবলী উৎসবে, ৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করলো, কৃষ্ণপুর রবীন্দ্র পল্লীর “প্রগতি সংঘ ” এবারে তাহাদের ভাবনা- শক্তি “রূপেন সংস্থিতা” এই ৫০ তম বর্ষের দ্বার উদ্ঘাটন করলেন ১৯ শে অক্টোবর ঠিক সন্ধে সাতটায়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী ঈশা সাহা, ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার দ্বার উদঘাটন করেন।
উপস্থিত ছিলেন, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী ইশা সাহা, এলাকার পৌর প্রতিনিধি মনীশ মুখার্জি, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অতিথি ও ক্লাবের সদস্য বৃন্দ, চিত্রশিল্পীরা।
এবারের ভাবনার চিত্রশিল্পী সুব্রত ঘোষ ও রাজীব শূর সহ সহযোগী শিল্পীরা।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দ্বার উদঘাটনের পর অভিনেত্রী ইশা সাহাকে উত্তরীয় পরিয়ে, হাতে পুষ্পস্তবক ও একটি ৫০ তম বর্ষের স্মারক তুলেদিয়ে সম্মানিত করেন, ক্লাবের মহিলারা পারমিতা বাগ ,সঞ্চিতা কুন্ডু, পাপিয়া চক্রবর্তী ,শাশ্বতী ঘোষ, এর সাথে সাথে উপস্থিত অতিথিদেরও উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন।
বিভিন্ন রূপ দিয়ে ভাবনাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, মন্ডপের সম্মুখের উপরিভাগে প্রগতি সংঘের ৫০ বর্ষ পূর্ণ লগ্নে যে উন্মেষ ,তাকে সূর্যের আলোর মতো বিচ্ছুরিত করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে পাটকাঠি অ্যালুমিনিয়াম ও প্রাইউডের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জাগ্রত ও দীপ্তিময় অবস্থা তুলে ধরার প্রয়াস ঘটিয়েছে।
দ্বিতীয় ভাগে আরো উপরে মায়ের আশীর্বাদ এর পরশ সর্বদা বিদ্যমান , তাই মায়ের মুখাবয়বের কাজ দেখানো হয়েছে,
তৃতীয় ভাগে দেখতে পায় প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে পদ্মফুলের কম্পোজিশন সাজানো হয়েছে, যেখানে পদ্মফুল হল উপাসনার আদি পুষ্পরপে চিহ্নিত। মা এর পদ যুগল বেষ্টনী রূপে সজ্জিত রয়েছে। সঙ্গে ইনস্টলেশন আর্ট রূপে দুইটি বড় জবা ফুল পদ যুগলের উপর রাখা রয়েছে। যা মায়ের প্রতি ভক্তি রুপে প্রতীকী হয়ে উদ্ভাসিত।
মায়ের পায়ে জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন, এই ভক্তি রশের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো মায়ের পদ যুগলের এই নৃত্য যা বিশ্বের অস্থির সময়কে প্রতীক করে দেখানো হয়েছে।
চতুর্থ ভাগে দেখা যায় মন্ডপের ভেতরে দুই পাশে মায়ের ১০ অবতার ও সঙ্গে অস্ত্র উজ্জ্বল আলোর বাতি ,আলোর প্রতীক এখানে একটা দীপ্ততার আভাস আর অস্ত্র কে অন্ধকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা মনের অন্ধকার কে দূর করবে, সারা মন্ডকে এইভাবে সুসজ্জিত করা হয়েছে। মায়ের বিভিন্ন রূপ চিত্রের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তোলা হয়েছে, শিল্পীদের তুলির টানে।
এছাড়াও রয়েছে, মন্ডপে চতুর্দিকে আলোর গেট থেকে শুরু করে সারা রাস্তায় আলোর বাহার,
প্রগতি সংঘ পুজো ছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে লিপ্ত থাকেন।
চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী ইশা সাহা, সংক্ষিপ্ত ভাবে বলেন, একটি সুন্দর ভাবনা দেখলাম, যাহার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে কালীমার বিভিন্ন রূপ, কালীমার প্রতিচ্ছবি, আর সাথে সাথেই দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, বাজী ফাটান কিন্তু আনন্দ যেন কারো নিরানন্দের কারণ না হয়। আর আমার নতুন ছবি “ইন্দু থ্রী ” দেখতে ভুলবেন না, একবার দেখে আসুন ভালো লাগবে, সবাইকে শুভ দীপাবলীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
প্রগতি সংঘের ৫০ তম বর্ষের ভাবনাকে বেশ করে এবং শিল্পীদের তুলির টানে যেভাবে মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলেছেন, তাহার সাথে সাথে যে প্রতিমার রূপ দিয়েছেন, তাহার উপর বিচার করেই, বিচারকদের বিচারে,, দৈনিক দুরন্ত বাংলার পরিচালনায়, সেরা ভাবনার, পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন,
ক্লাবের মহিলা সদস্যরা জানান, আমরা খুব আনন্দিত, কারণ এই বছর আমাদের সবকিছুই বড় করে হচ্ছে, যেহেতু ৫০ বছর , সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পা দিলাম, এবং এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ধন্যবাদ জানাবো শিল্পীদের, যাহারা এরকম ভাবনার উপর মন্দিরটিকে সাজিয়েছেন এবং আমরা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি, এর সাথে সাথে সকল দর্শক এলাকাবাসীকে আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের ,শুভ দীপাবলীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।