৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করলো- শিবরামপুর ফাইভ স্টার ক্লাব, এবারের বার্তা- “তারা মা দর্শন করুন।”
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৩ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার, সকলের সাথে পাল্লা দিয়ে, এবারে তারা বার্তা দিতে চেয়েছেন ৩৪ তম বর্ষে, “তারা মা দর্শন করুন” উনিশে অক্টোবর ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে আটটায়, শিবরামপুর কাস্টডাঙ্গার সংযোগস্থলে, ফাইভ স্টার ক্লাবে , বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী এই প্রতিমার দ্বারদঘাটন করেন।
ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার দ্বারদঘানট করেন, এরপর অতিথিদের উত্তরীয় ও ব্যাচ পড়িয়ে হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান।
শিবরামপুর ফাইভ স্টার ক্লাব প্রতিবারই, এলাকার মানুষদের আনন্দ দিতে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দীপাবলীতে খুশি করতে, চলচ্চিত্র জগতের ও সিরিয়াল জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়ে শুভ সূচনা করেন প্রতিমার, এবং এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাস ও উল্লাস দেখার মতো, সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ও প্রতিবেশীরা, কখন মায়ের শুভ সূচনা হবে। কয়েকদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিয়ে থাকেন।
শিবরামপুর ফাইভ স্টার ক্লাবের ঐতিহ্য হলো,” তারা মা”- ৩৪ বছর ধরে ক্লাবের সদস্যরা তারা মাকে পুজো করে আসছেন এবং প্রতিষ্ঠা করছেন, প্রতিমার সাথে সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বিভিন্ন মন্দিরের আদলে থিম তৈরি করেন, তবে তারা মায়ের যে রূপ সত্যিই দেখার মতো, দর্শকের ও এলাকার মানুষের মন কেড়ে নেয়, এই ক্লাব কখনোই তারা মায়ের বদলে অন্য কোন প্রতিমাকে প্রতিষ্ঠা করেন না, এমনকি ভাবনাও তারা অন্য কিছুকে বেছে নেন না,
তাদের ভাবনা প্রতিমার সাথে সামঞ্জস্যকে রেখে কখনো তুলে ধরেন শিব মন্দির, কখনো তারাপীঠের মন্দির, কখনো কালীঘাটের মন্দির, কখনো দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল তৈরি করেন।
শিবরামপুর ফাইভ স্টার ক্লাব, শুধু পুজো করেন তা নয়। তাহারা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এমনকি বিভিন্ন এলাকার প্রতিবাদের সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এলাকার ছোট ছোট প্রতিবাদে তুলে ধরতে, এছাড়াও তারা পুজোতে ভোগ বিতরণ, লটারির আয়োজন পুজো উপলক্ষে করে থাকেন, এছাড়াও সারা বছর সমাজ মূলক কাজ করে থাকেন,
শিবরামপুর ফাইভ স্টার ক্লাব, প্রতিবছর বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে থাকেন, এবছরও তারা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ,সেরা প্রতিমা ও পরিবেশের উপর।
ক্লাবের সদস্যরা সংক্ষেপে বলেন, আমরা প্রতিবছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। কারণ আমাদের এই পুজোকে কেন্দ্র করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আনন্দে মুখর হয়ে ওঠে, এমনকি এলাকা বাসীরাও খুশি হন, তাই আমরা নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে চেষ্টা করি এলাকার মানুষকে আনন্দ দেওয়ার, এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আনন্দ, আমাদের সমস্ত কষ্টকে ভুলিয়ে দেয়। সর্বশেষে দর্শক ও এলাকাবাসীকে এবং যাহারা আমাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করেন, সকলকে শুভ দীপাবলীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানালাম। সবাই ভালো থাকবেন, নিজেদের সুস্থ রাখবেন, বিপদ থেকে দূরে থাকবেন।