এস আই আর এর নামে- এন আর সি অবিলম্বে বাতিল করার দাবীতে, প্রতিবাদী জনসভা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ,আজ ৫ই নভেম্বর বুধবার, ঠিক দুপুর আড়াইটায়, কলকাতা কর্পোরেশনের পাশে, প্রায় ১০০ টিরও বেশি সংগঠনের ডাকে, এস আই আর এর নামে এন আর সি অবিলম্বে বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ জনসভা করলেন। তাহাদের একটায় দাবী, এস আই আর এর নামে একজনেরও বৈধ ভোটারের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে দেব না। এস আই আর আমরা মানছি না।
এই প্রতিবাদী জনসভায়, এস আই আর বিরোধী গণআন্দোলনের পক্ষ থেকে, যে সকল সংগঠন উপস্থিত ছিলেন,
তাহাদের মধ্যে, হকার সংগ্রাম কমিটি, অল ইন্ডিয়া উইমেন হকার্স ফেডারেশন, সুন্দরবন আদিবাসী জাগরণ সমিতি, আদিবাসী মানবাধিকার সংগঠন, আদি লোক মঞ্চ, দিনাজপুর নাট্য সমাজ, গঙ্গারামপুর লোক চৈতন্য গীত নাট্য সংস্থা, ফ্রেন্ডস অফ ডেমোক্রেসি, এ পি সি আর, ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড কমিউনাল অ্যামিটি, সংগ্রামী আদিবাসী মঞ্চ, এন এইচ এফ, মহিলা স্বরাজ, ভারত জোরো অভিযান, বন্দী মুক্তি কমিটি, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য শিশু কল্যাণ আশ্রম, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী চেতনা সমিতি, ঝুমুর নাট্যদল, তফসিলি জাতি ও আদিবাসী সমিতি, বৈষম্য বিরোধী মঞ্চ, শিবশক্তি আদিবাসী লোক নৃত্য সংস্থা, সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন।
প্রতিবাদী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও নেতৃবৃন্দ, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এস আই আর বিরোধী গণআন্দোলনের নেতা শক্তিমান ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন সুজাত ভদ্র।
আজকের প্রতিবাদী জনসভা থেকে একটি পুস্তক এর শুভ সূচনা করেন, এস আই আর উপর। এবং সভা শুরুর আগে, বাংলার মাটিতে, বাংলার গান গেয়ে সভা শুরু করেন।
তাহারা সকল সংগঠনের উদ্দেশ্যে একটা কথায় বারবার বলেছে, যেমন আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে দেব না, তেমনি আমরা রাস্তায় নেমে এস আই আর এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরো তীব্র করে তুলবো, শুধু গণমঞ্চই নয়, তাহারা বলেন কৃষক ,শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী ,মহিলা, দলিত, মুসলিম ,আদিবাসী, সাহিত্যকর্মী, নাট্যকর্মী, শিল্পী, বাংলা লিটল ম্যাগাজিন সহ সকল কে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাড়ায় পাড়ায় গণআন্দোলন গড়ে তুলুন,
আর বলেন কেউ যদি কোন নথি দেখতে চাই, আপনারা দেখাবেন না।
কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন প্রণয়ন করেছেন, এবং যতগুলি নির্দেশিকা দিয়েছেন, যে সাল থেকে উল্লেখ করেছেন, আমরা কোন কিছুই মানবো না, বাংলা থেকে একটা ভোটাধিকার বাদ দিতে দেব না।
আমরা দেখতে পাচ্ছি এস আই আর এর নামে , বিভিন্নভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, এমনকি নথি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, অনেকে ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে, এমনো দেখা গেছে, যাদেরকে এইভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাহাদের বাবা-মায়ের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, অনেকের ছেলে মেয়ে চাকরির জন্য পড়াশোনার জন্য বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন।, তাদের কেউ ছাড়া হচ্ছে না, তাহাদের বাবা-মায়ের কাছে বিভিন্ন বিভ্রান্ত মুলক কাগজ দেখতে চাইছে, এইভাবেই বিহারে কয়েক লক্ষ ভোট বাতিল হয়েছে। এবার চাই বাংলায়, কিন্তু আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই নির্বাচন কমিশনকে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে, বাংলার মানুষ আপনাদেরকে নথি দেখাবে না। এবং বাংলার মানুষের একটা ভোটাধিকার যেতে দেব না, যদি কোন পাড়ায়, একটা ভোটাধিকার যায়, সমস্ত গ্রামের মানুষ ঘেরাও করে রাখবে, এটা আপনাদের কে জানিয়ে দিলাম।
আপনারা ভোটের আগে হলেই, বিভিন্ন আইন প্রণয়ের মাধ্যমে, বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, কখনোই এপিক কার্ড নিয়ে, কখনো আধার কার্ড নিয়ে, কখনো রেশন কার্ড নিয়ে, আবার কখনো আইনের বল প্রয়োগ করে, আমরা নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চাই, এই সকল কার্ড কারা তৈরি করিয়েছিলেন, কেনই বা এর মূল্য নাই, কেনই বা এস আই আর এর দেরকার হচ্ছে, তাহার জবাব আপনাদেরকে আগে দিতে হবে। বাংলার মানুষের কাছে, বাংলার মানুষের জানার অধিকার আছে, কারণ সবাই বাংলায় বাংলাদেশি নয়।
আর এই এস আই আর এর বিরুদ্ধে, বাংলার জননেত্রী, মাননীয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং বাংলার গর্ব ও রূপকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পথে নেমেছেন, বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন।