৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো- হালদার পাড়ার সাবেকী শ্যামা পুজো ২০২৫ , হালদার পরিবারদের।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ২২শে অক্টোবর বুধবার , যোতশিবরামপুর, হালদার পাড়ার শক্তি সংঘের সাবেকী আনার শ্যামা পুজো - ৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো, এবং ছিনিয়ে নিল সাবেকী আনার সেরা প্রতিমার শিরোপা 2025। এই পুজোর সাথে যুক্ত আছেন সমস্ত হালদার পরিবার। যাহারা ৬৫ বছর ধরে এই শ্যামা পুজো করে আসছেন বিভিন্ন রীতি নীতি মেনে। আগে যাহারা পূজো করতেন এবং পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যেতেন, তাহাদের কয়েকজনের অকাল-প্রয়াণে পুজো কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ে, হালদার পরিবার এখনো যে কোনো অনুষ্ঠানে, তাদের ছবি সামনে রেখে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান।, বিষ কয়েকটি পরিবার নিয়ে এই শক্তি সংঘের পুজো শুরু করেন।।
হালদারপাড়া শক্তি সংঘের পুজোয় যারা যুক্ত আছেন এবং দায়িত্ব বহন করে চলেছেন,
বাহাদুর মধ্যে সভাপতি বিলাস হালদার, কার্যকরী সভাপতি শ্রী সঞ্জিত হালদার, সহ-সভাপতি শ্রী দেবনাথ হালদার, সমীর হালদার, বিল্লদল হালদার, অজিত হালদার, যুগ্ম সম্পাদক প্রিয়াংশু আদক, শোভন হালদার।, যুগ্ম সহ সম্পাদক শান্তনু দাস, অতনু আদক, বুনো কোষাধ্যক্ষ শীতাংশু হালদার, দীপ বাবু হালদার, হিসাব পরীক্ষক সুদীপ হালদার, হিসাব রক্ষক স্বপন হালদার সহ হালদার পরিবারের সকল মহিলাগণ।
এই হালদারপাড়া একটি সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পুজো কদিন আনন্দে মেতে উঠেন, এবং সকলকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন , চাকচিক্য না থাকলেও, প্রতিমার রূপ ও সাবেকী আনায় সকলকে আনন্দে মাতিয়ে তোলে, হালদার পরিবার সকলে একত্রিত হয়, পাড়ায় বেজে উঠে শ্যামা সংগীত, পরিবারের সকল লোকজন সকাল থেকে এসে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
তবে এটা বলা বাহুল্য যে এখনো বেশ কিছু পুরানো দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা জুনিয়র সদস্যদের পথ দেখাচ্ছেন এবং তাদেরকে দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করছেন, জাতে আগামী দিনে, আবার নতুন করে ধীরে ধীরে এই পুজো সবার সামনে গিয়ে পৌঁছায়, তাই তারা এই পুজটিকে জুনিয়র সদস্যদের হাতে কিছুটা দায়িত্ব দিয়েছেন , এবং এদের পাশে থেকে সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনা করছেন সিনিয়ররা।
তবে ক্লাবের সদস্য জানালেন, এই পুজো হয়তো এখন আর বড় করে হয় না, কোন থিম তুলে ধরে পুজো হয় না।, কিন্তু হালদার পরিবারের প্রতিমা একইভাবে ৬৫ তম বর্ষ পদার্পণ করল। আমাদের ইচ্ছে আছে ৭০ তম বর্ষে আল্লাহর পরিবারের পুজো সবার সামনে উঠে আসবে।
হালদার পরিবারের মধ্য থেকে জানালেন, পুজো ও প্যান্ডেলে নাইবা থাকলো চাকচিক্য নাইবা থাকলেও প্রতিমার আলাদা রূপ, আমাদের প্রতিমা বংশ পরস্পরায় সাবেক আনায় পুজো হয়ে আসছে, তাই আমরা এই আলাদাভাবে নিয়ে যেতে চাইছি না, এক সময় হালদার পরিবারের পুজো ও হালদার পাড়ার পুজোয় সারিবদ্ধভাবে ভোগ খেতে আসতেন।, কিন্তু কর্নার পর থেকে আমরা কিছুটা দূরে হয়ে পড়েছি, তবে সবার আশীর্বাদ থাকলে আমরা আবার শ্যামামাকে বড় করে সবার সামনে তুলে ধরবো। তবে হালদার পাড়ার মহিলারাও কোন অংশে কম নয়, সকাল থেকেই যে যার দায়িত্ব নিয়ে মেটে উঠেছে।
হালদার পাড়ার শক্তি সংঘের প্রতিমার রূপ আলাদা মাত্রা এনে দেয়, এমনকি পরিবেশের সাথেও, প্রতিমার মুখ এতটাই সুন্দর যে এমনকি এলাকার পরিবেশ চ্যানেলের পক্ষ থেকে সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে।, সেরা প্রতিমার শিরোপা তুলে নিয়েছেন।।
তাই চ্যানেলের তরফ থেকে, হালদার পরিবারের যে নিষ্ঠার সহিত পুজো ও পরিবেশ কে কেন্দ্র করে সেরা ভাবনা ও সবই কি আমার সেরা প্রতিমার শিরোপা চিনিয়েছেন।
আমরা গ্রাম বাংলার পূজোকে তুলে ধরতেই এলাকায় এলাকায় বিভিন্ন ক্লাবে ক্লাবে চলেছি, সেখানকার মাকে বিচার পর্ব সেরে নিতে এবং সম্মান তুলে দিতে। আমরা চাই গ্রাম বাংলার সমস্ত পুজো এইভাবে যেন এগিয়ে চলে , পুজো দুটো দিন আনন্দে মেতে উঠে, সবার সহযোগিতায় আরো বড় হতে পারে। আজ সেরা প্রতিমা ও সেরা পরিবেশের সম্মান পেয়ে হালদার পরিবারের সবাই খুশি।