বাংলাদেশের মতো অন্য দেশে হিন্দুস্থানের মতো দালাল নেই বাংলাদেশকে করদরাজ্য বানানোর জন্য একাত্তরে সহযোগিতা করেছিল ভারত------ জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের মতো অন্য কোন দেশে হিন্দুস্থানের এতো দালাল নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাগপার সহসভাপতি ও দলটির মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। সোমবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের মিডিয়া হাউজে শহীদ আবরার ফাহাদ দিবস উপলক্ষে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী শক্তির আয়োজিত আলোচনা সভায় এক কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমার খুব কষ্ট লাগে বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের খেয়ে একটি সম্প্রদায় সব সময় মাথা উঁচু করে রাখে। তার মধ্যে ছিলো আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দলসহ শাহাবাগিরা। আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর তারা ভর করলো জাতীয় পার্টির উপর। জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলে তারা জাতীয় লীগ নামে নতুন দল জাতীয় লীগের কাঁধে ভর করে হিন্দুস্থান ও আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশ নিবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে করদরাজ্য বানানোর জন্য একাত্তরের ভারত সহযোগিতা করেছিল। প্রথম তারা ব্যবহার করেছে শেখ মুজিবুর রহমানকে পরে প্রশিক্ষণ দিয়ে শেখ হাসিনাকে। এখনো তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সদ্য শেষ হওয়ায় পূজায় বাংলাদেশের ৮০০ টি মন্ডপে অসুরের চেহেরার মধ্যে দাঁড়ি বসানো হয়েছে। ভারতে ড. ইউনুসের আদলের অসুরের মূর্তি গড়া হয়েছে। কিন্তু দেবীর আসনে শেখ হাসিনাকে বসানো হয় নি। শেখ হাসিনা ছিলো ভারতের সেবাদাসী। কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে ভাবতে হবে। তারা ভেবেছিল হিন্দু মুসলিমে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেই নি। তারপরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। একটি ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার আগেই পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে গেলো। পাহাড়িদের সাথে সমতলের মানুষের যুদ্ধ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হলো। সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের সৈন্য বাড়ানো হলো। আর ঢাকার রাজপথে শাহাবাগী রাম বাম মিছিল বের করলো পাহাড় থেকে সেনা হঠাতে হবে। দুঃখ লাগে।
তিনি বলেন, আমরা যারা সীমান্ত এলাকার মানুষ আমরা ভারতের আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। কয়েকদিন পর পরেই শোনা যায় সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তারা ৫৪ টি অভিন্ন নদীকে বাধ দিয়ে পানি আটকে রেখেছে। যখন বর্ষা আসবে তখন পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করবে আর শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখবে। একাত্তরের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশের মানুষকে ভাতে মারছে, পানিতে মারছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী পোস্ট দেয়ায় আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শিবির আখ্যা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা হয়েছে। তখন কেউ বলেনি মব হচ্ছে। এখন কোন কিছু হলেই বলা হয় আমরা নাকি মব করছি। হাসিনার ষোল বছরে নাকি কোন মব দেখা যায় নি। এ সময় তিনি ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসন রুখে দিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় আদালতের পিপি ও বিএনপি নেতা আদম সুফী, কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান, শহর জামায়াতের আমির জয়নাল আবেদিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রণিক, জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সাংবাদিক আবু নাঈমসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।