তেতুলিয়ায় মাজরা পোকার আক্রমণে শেষ করে ফেলছে আমন ধান
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড় তেতুলিয়া
উপজেলায় মাজরা পোকার আক্রমণে শেষ করে ফেলছে আমন ফসল। দফায় দফায় কীটনাশক ব্যবহার করেও থাকানো যাচ্ছে না পোকার এই তীব্র গতি। এতে একদিক রোপাআমন আবাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত আমন ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায়র চলতি রোপাআমন মৌসুমে
তেতুলিয়া উপজেলায় আমন ধানের চাষের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সাধারণত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই বছর (২০২৫ সাল), পঞ্চগড় জেলায় মোট এক লাখ ৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে তেতুলিয়া উপজেলাও অন্তর্ভুক্ত।। এবার কৃষকরা বেশিরভাগ জমিতে বিনা-১৭, স্বর্ণা-৫ ও ৫১ জাতের ধান চাষ করেন। জমিতে ধান রোপণ করার পর ধানগাছ সবুজ আকার ধারণ করার পর পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা কেউ বা কীটনাশক স্প্রে, কেউ বা দানাদার প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। কিছুদিন পর ধান গাছে মাজরা পোাকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষকরা ওয়ানস্টপ, কেরাটে ও ভিরতাকু নামক কীটনাশ আবারো স্প্রে করেন। তারপর থামানো যাচ্ছে না ধানগাছের মাজরা পোকার আক্রমণ। আক্রান্ত জমিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ধান গাছের পাতা সাদা হয়ে মরে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আমন ফসল।
সালগ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, তার সাড়ে ৭ বিঘা জমির আমন ফসলে মাজরা পোাকর আক্রমণ করেছে। ধানগাছের পাতা সাদা হয়ে মেের যাচ্ছে। পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কেউ খোঁজ নেন না।
তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী জানান, তার তিন বিঘা জমির ধানগাছে মাজরা পোকার আক্রমণে পাতা মরে বিনষ্ট হচ্ছে। কী উপায়ে ধানগাছ রক্ষা করা যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছি।