হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর-- প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ , ,
আজ ৪ঠা অক্টোবর শনিবার, ঠিক বিকেল সাড়ে ছটায়, যে পুজোকে ঘিরে বারবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, পুজো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে প্রশাসনের তরফ থেকে ও বিভিন্নভাবে, সেই বিতর্কিত পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, লেবুতলার- প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা এক ঝাঁক বিরোধী নেতাদের উপস্থিতিতে ও প্রতিবাদীদের সঙ্গে নিয়ে । এই নিরঞ্জন শোভাযাত্রা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দু'ধারে জমা হয়েছে,
উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, তাপস রায়, তমোগ্ন ঘোষ, আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী,শমীক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতা নেতৃবৃন্দ।
একটি সুন্দর প্রশাসনের মধ্য দিয়ে ও বাজনা বাদ্যি , শঙ্খ ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয়, ধুনুচি নাচের মধ্য দিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে এবং কামানের গর্জনে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে, শোভাযাত্রা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে একটু একটু করে বউবাজার রোড ধরে ওয়েলিংটন, এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং হয়ে বাবুঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই শোভাযাত্রায় পায়ে পা মেলান সমস্ত বিরোধী দল নেতারা ও প্রতিবাদীরা। এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ সন্ধ্যে থেকে যেমন জমায়েত হয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে, আবার রাস্তার দুধারেও অপেক্ষা করছিলেন হাজারে হাজারে মানুষ কখন যাবে এই শোভাযাত্রা।
এই পুজোকে ঘিরেই শুরু হয়েছিল পুজোর আগে থেকে শেষ পর্যন্ত বিতর্ক এবং পূজো বন্ধ করে দেওয়ার বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি, কোনভাবেই পুজো উদ্যোক্তা সজল ঘোষ কে দমাতে পারেনি, সমস্ত পারমিশনের জোরেই তিনি পুজো শেষ করেছেন। আজও মাকে নিয়ে বিসর্জনের পথে চলেছেন।
আজ সজল ঘোষ সহ সমস্ত বিরোধী দলনেতা ধিক্কার ও প্রতিবাদের ঝড় তুললেন, সজল ঘোষ বলেন আমি সরকারি অনুদান নিই না, এবং সরকারের কোন বিনা অনুমতি ছাড়া পুজো করি না। তাই আমি কাউকে পরোয়া করি না, যারা গরীবের টাকা আত্মসাৎ করে, যারা চাকরির টাকা আত্মসাৎ করে পুজোতে দান করে, এই অনুদানের টাকায় আমি পুজো করি না, তাই এতো ক্ষোভ, আর কার্নিভাল ও মানি না, কিসের কার্নিভাল সমস্ত বিরোধী নেতাদের একই প্রশ্ন, কিসের এতো উৎসব, যে বাঙ্গালীদের কথা বলে, বাংলা ভাষার কথা বলে, সেই বাঙ্গালীদের পথে বসিয়েছে ,তাদের চাকরি খেয়েছে, তাদের আনন্দ মুছে দিয়েছে, আর ২০২৫ এ যে সকল প্রতিমা উদ্বোধন করতে গিয়ে মানুষের চোখে ধরা পড়েছে, এই জবাব মানুষই দেবে। তাই ২০২৬ এ মানুষ কিভাবে জবাব দেয় ,আর বাংলা থেকে মানুষ কিভাবে তৃণমূলকে বিদায় দেয়, জনগণ তৈরি হচ্ছে, আজ মাকে নিয়ে এতো অশান্তি সৃষ্টি করেছেন, মাও ছেড়ে কথা বলবে না, সবকিছু দেখছেন শুধু অপেক্ষা। এর সাথে সাথে প্রশাসনদের উদ্দেশ্যেও বলবো, আমার পুজোতে এত ঝাল কেন, আরো অনেক নেতাদের পুজো হয় সেখানে গিয়ে ঝাল দেখান। তাতে জনগণ খুশি হবে, আর যতো আপনারা বিতর্কের জায়গা তৈরি করছেন, মানুষের জনজোয়ার তত বেশি হয়েছে। যারা দেশের জন্য লড়াই করেছে দেশকে রক্ষা করেছে আমি তাদের স্মরণ করেছি, সেই আর্মিদের সম্মান জানিয়েছি, আর আপনি সেই সেনাদের বলেছেন নাকি আপনার ভয়ে তারা পালিয়ে গেছে, এর থেকে মিথ্যা বড় আর কি হতে পারে, তাই আপনি প্রশাসনের অফিসারদের দিয়ে পুজো বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।