ফুলপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিশাল জনসভা
ফয়জুর রহমান (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কর্তৃক রহিমগঞ্জ বাজারে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জনসভায় রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অভিভাবক পরিষদ সদস্য আল্লামা মুফতি খোরশেদ আলম কাসেমী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত ১৪৬ -ময়মনসিংহ ২ ( ফুলপুর-তারাকান্দা)সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এমপি পদপ্রার্থী মুফতি মোহাম্মদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি আল্লামা আজিম উদ্দিন শাহ জামালী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনিসুর রহমান, তারাকান্দা উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সবুর খান প্রমুখ। এছাড়াও ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এবং ইসলামী আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ বলেন আমি এই এলাকার সন্তান কারো ভাই কারো ভাতিজা কারো ভাগিনা। আমি টাকা কামাই করার জন্য রাজনীতিতে আসি নাই আমি একজন ব্যবসায়ী রাজনীতি আমার পেশা নয়। আমার পেশা রয়েছে, তাই আমাকে রাজনীতি করে টাকা কামাতে হবে না। যাদের কোন পেশা নেই রাজনীতিই তাদের পেশা টাকা কামাই করাটা তাদের নেশা। তিনি বলেন আপনারা যদি আমাকে পিছন থেকে শক্তি যোগান তাহলে আমি আপনাদেরকে ওয়াদা দিতে পারি দেশের কোন অঞ্চল কেমন হবে আমি তা জানি না তবে ফুলপুর তারাকান্দা হবে ইউরোপ আমেরিকার মত। কারণ আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা যদি দেশের টাকা বিদেশে পাচার না করতো তাহলে আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত। তাই আমি একজন আলেম হিসেবে আপনাদেরকে কথা দিতে চাই অন্তত আপনাদের আমানতের খেয়ানত করবো না। তিনি বলেন ইসলামিক দল ক্ষমতায় না আসলেও অন্তত কিছু সংখ্যক আলেমদেরকে আপনারা সংসদে পাঠান। হোক তা দশ জন অথবা বিশ জন। কারণ যদি দশ বিশ জন ওলামায়ে কেরাম সংসদে থাকে তাহলে সংসদ তাদের কথায় পরিচালিত হবে তাই অন্তত দশ বিশ জন ওলামায়ে কেরামকে আপনারা সংসদে পাঠান। তাহলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে। উল্লেখ্য আসর এর নামাজের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকাল ৩ ঘটিকা থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। অনুষ্ঠানের শুরুর পূর্বেই অনুষ্ঠানস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।