কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অশ্রু জলে মাকে বিদায়- ঘাট পরিদর্শনে মন্ত্রী ও মহানাগরীক ফিরাদ হাকিম।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ :
আজ ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার, সকাল থেকেই শুরু হয়েছে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে অশ্রু ভরা চোখে মাকে বিদায় জানানো, দুপুর ১২ টা থেকেই শুরু হয়ে গেছে ঘাটে ঘাটে ঢাক ও বাদ্যির বাজনার তালে তালে মাকে বিদায় জানানো। আবার আসছে বছর আবার হবে, মা আমাদের আসবে ফিরে। কিন্তু কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি, এই কয়েকদিন মাকে নিজের মতো করে কাছে পেয়েছিল, আবার বিদায় দিতে হলো। দশমীর সকাল থেকে ঢাকের বাজনা বুঝিয়ে দেয়, এবার মায়ের যাবার সময় হয়েছে। আর মাকে আটকে রাখা যাবে না , তাই বাড়ির পূজো থেকে শুরু করে ক্লাবের পুজো গুলি একে একে ঘাটে ভিড় জমিয়েছে এবং মাকে বিদায় জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন মা কটা দিন শুধু আমাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য আসেন। তারপর আমাদের কাঁদিয়ে চলে যান।
সকাল থেকে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলেও, কোন বাধাই মানে না মাকে বিসর্জন দিতে ও বিদায় জানাতে, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিমা নিয়ে কলকাতার আউট ট্রাম ঘাট থেকে শুরু করে বাবুঘাট এবং অন্যান্য ঘাটে উপস্থিত হয়েছেন পূজা উদ্যোক্তারা ও বাড়ির পরিবারেরা। শুধু তাই নয় বাড়ির মহিলারা সকাল থেকে সিঁদুর খেলা ও একে অপরকে আলিঙ্গনে মেতে উঠেছেন।
প্রতিটি ঘাটে ছিল করা নজরদারী ও প্রশাসনের তৎপরতা, শুধু তাই নয় কেএম সির লোকেরাও উপস্থিত রয়েছেন ঘাটে ঘাটে।, এমনকি কেএম সির বিভিন্ন গাড়ি মজুৎ রাখা হয়েছে ঘাটে ঘাটে, ক্রেন থেকে শুরু করে অন্যান্ন গাড়ি, নদীতে যাতে দূষণ না ঘটে, তাই প্রতিমাগুলিকে ফেলার সাথে সাথে কেএম সির লোকেরা সেগুলি ক্রেন এর সাহায্যে ডাঙায় তুলে ফেলছেন। এবং গাড়িতে করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসছেন।
প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে বিভিন্ন সতর্কতা মূলক ঘোষণা করছেন, কেউ প্রতিমার জিনিসপত্র ঘাটে ফেলবেন না, কেউ জলে নামবেন না, এমনকি আমাদের কেএম সির বিভিন্ন গাড়ি ঘোরাঘুরি করছে, আপনারা সামনে থাকবেন না, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে প্রতিমা গুলি একে একে জলে ভাসান দিন, নিজেরা দুর্ঘটনা থেকে সতর্ক থাকুন।। সাথে সাথে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা অনুযায়ী সকলকে শুভ শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
বিভিন্ন ঘাট গুলিতে পরিদর্শনে আসেন মাননীয় মন্ত্রী ও মহানাগরীক ফিরাদ হাকিম সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররা, ঘাটে চতুর্দিকে করা নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে, এছাড়াও যে সকল রাস্তা দিয়ে প্রতিমা নিয়ে আসছেন সেই সকল রাস্তাতেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা নজরদারী রাখছেন, একটু একটু করে রাত যত বাড়ছে প্রতিমা আশা আরো বেড়ে চলেছে, কার্নিভালে আমন্ত্রিত প্রতিমাগুলি ছাড়া, প্রায় প্রতিমা আজ বিসর্জন হয়ে যাচ্ছে। সকলের কণ্ঠে একটাই ধ্বনিত হচ্ছে , জয় দুর্গা মাইকি, আসছে বছর আবার হবে, মা আমাদের আসবে ফিরে।