নবমীর মধ্যরাতে চেতলা অগ্রগামী ক্লাবে জনজোয়ার, ২০২৫ এর ভাবনা বহুমুখী - একমুখী "অমৃত কুম্ভের সন্ধানে"
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ.
আজ ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ১লা অক্টোবর বুধবার ,মাঝে মাঝে বৃষ্টির মধ্যেও নবমীর মধ্যরাতে জন জোয়ারে পরিণত হলো, চেতলা অগ্রণী ক্লাবের এবারের ভাবনা, বহুমুখী- একমুখী, "অমৃত কুম্ভের সন্ধানে" পুজোর উদ্যোক্তা মাননীয় মন্ত্রী ও মহানগরীক ফিরাদ হাকিম।
সুন্দর একটি ভাবনা ও পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে, দর্শকের মন জয় করে নিল চেতলা অগ্রণী ক্লাব, চোখ ফেরানো দায়, সকাল থেকে দু চার বার বৃষ্টি আসলেও, বিকেল থেকেই প্রচুর ভিড় জমতে থাকে, দূর দুরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা, সন্ধ্যে যত বাড়ে ভীড় তত বাড়তে থাকে, কালীঘাট মেট্রোই নেমে হাজারি হাজার হাজার মানুষ চেতলা অগ্রণী ক্লাবে লাইনে দাঁড়িয়ে, মধ্যরাতে ভিড় আরো বেশি জমতে থাকে, কালীঘাটের শ্মশানের কাছ শুরু করে দুর্গাপুর ব্রিজের কাছাকাছি ভিড় চোখে পড়ার মতো, হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে, কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা পর্যন্ত কাহার উপর প্রচন্ড গরম লাইনে দাঁড়িয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দর্শনার্থীরা,
প্রশাসন থেকে শুরু করে ক্লাব উদ্যোক্তারাও লাইন সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, রাস্তার মধ্যে যান চলাচল আটকে গেছে, মাইকিং এর মধ্যে বারবার ঘোষণা করছেন কেউ অধৈর্য হইবেন না, আস্তে আস্তে লাইন ধরে প্যান্ডেলে প্রবেশ করুন। প্রশাসনের আধিকারিকরা এবং আমাদের ক্লাব সদস্যরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যদি কেউ লাইনে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে অতি অবশ্যই যোগাযোগ করবেন।
লাইনে যতই দাঁড়িয়ে থাক, তারা চেতলা অগ্রণী ঠাকুর না দেখে লাইন ছেড়ে বেরোবেন না এমনটাই জানালেন, কেউ কেউ আবার একবার এই ঠাকুরটা এবং ভাবনাটা দেখে মন ভরে না, তাই তিনি আবারো লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তিনি জানান এত সুন্দর একটা ভাবনা আরেকবার না দেখে মনকে সান্তনা দেওয়া যাচ্ছে না, আর চেতলা অগ্রনী ক্লাব মানেই প্রতিবছরের ভাবনা, আমাদেরকে টেনে আনে, সত্যিই এবারের ভাবনা, যেভাবে তুলে ধরেছেন শিল্পীরা ও থিম মধন্যবাদ অশেষ ধন্যবাদ, ধন্যবাদ জানাবো ক্লাবের সকল সদস্যদের, যাহাদের সহযোগিতা ও ভাবনায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে পুজো প্যান্ডেলে টেনে এনেছে। বহু সারক সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে।