অষ্টমীর সন্ধ্যায় মানুষের ঢল পূজো প্যান্ডেলে, প্রশাসনের অফিসাররা হিমশিম খাচ্ছেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ৩০ শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, দুপুর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি, অনেকেই চিন্তায় পড়েছিলেন, অষ্টমীটা কেমন কাটবে, ঠিক দুপুর বারোটা নাগাদ শুরু হয়ে যায় প্রবল জোরে বৃষ্টি। কিন্তু হার মানেনি পুজোপ্রেমীরা, বৃষ্টি থামার সাথে সাথে, বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো, সন্ধ্যা যতো হয়ে আসছে ভিড় ততো জমে উঠেছে পূজো মন্ডপে,
বেশ কয়েকটি পূজা প্যান্ডেলে ভীড় চোখে পড়ার মতো, পুজো প্রেমী ও দর্শকদের রাস্তা পারাপার করতে এবং নির্দিষ্ট পথে তাদেরকে পরিচালনা করতে প্রশাসনের অফিসারেরা হিমশিম খাচ্ছেন রাস্তায়। মেট্রোতেও জমে উঠেছে ভীড়, তবে যত রাত্রি বাড়ছে ভীড় তত আরও হচ্ছে, দর্শকদের বাধ্য হচ্ছেন প্রশাসনের তরফ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়ার, শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে মাইকিং করে ও ঘোষণা করছেন, নির্দিষ্ট পথ ধরে হাঁটাচলা করবেন, কোনরকম ঝুঁকি নেবেন না, রাস্তা পারাপারের সময় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন, কেউ রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটাচলা করবেন না, এই রকমটাই শোনা গেল গড়িয়াহাট মোড়, রাসবিহারী মোড়, দেশপ্রিয় পার্কের সামনে। প্রশাসনের তরফ থেকে।
অন্যদিকে দেখা গেলো, কিছু প্যান্ডেলে ভিড় জমলেও , রাস্তা তে লোকের সমাগম হলেও, পটশিল্পীরা চিন্তিত, কারণ তাহারা যা আশা করে এসেছিলেন, তেমন বিক্রি বাটা না হওয়ায় ভাবনায় পড়েছেন, সুদূর মেদিনীপুর, বর্ধমান থেকে আগত পটশিল্পীরা তাদের পসরা নিয়ে রাস্তার ধারে বসে। যদিও মাঝে মাঝে দু একটি ক্রেতা চেন তারা দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন, অন্যান্য দোকানদারদেরও একই অবস্থা, এই বছর বিক্রি বাটা তেমন নাই। আর মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার ফলে আরো বাজার খারাপ হয়ে গেছে। তবে মেলায় আনন্দ দিতে বিভিন্ন রকমের দল নিত্য দর্শকদের মুখর করে তুলছে এমনটাও চোখে পড়ল।
আমরা বেশ কিছু পুজো ক্যামেরায় বন্দী করলাম, কলকাতার নামকরা কয়েকটি পুজো, যেখানে মানুষের ঢল আসতে আসতে বেড়ে চলেছে,
ত্রিধারা ক্লাব, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, এভারগ্রীন ক্লাব, ৬৬ পল্লী, দেশপ্রিয় পার্ক, হিন্দুস্থান ক্লাব, সিংহী পার্ক, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ সহ একাধিক পুজো, আমরা ক্যামেরা বন্দী করলাম। মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি , তবে আস্তে আস্তে আবারও মেঘ জমে উঠছে ও মেঘের গর্জন উঠছে, কিন্তু মানুষের ঢল এতটুকু কমেনি রাত যত বাড়ছে মানুষের ঢলো বাড়ছে।