বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী লন্ডন বানাতে গিয়ে, বইপাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার বই জলের তলায়।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৪ শে সেপ্টেম্বর বুধবার, একদিনের প্রবল বর্ষণে, একদিকে যেমন কলকাতা জল প্লাবিত, অন্যদিকে কলকাতার বিভিন্ন মার্কেটে লক্ষ লক্ষ টাকা জিনিস জলের তলায়, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত, পুজোর সময় তাদের লাভের গুরু পিপড়েই খেলো , শুধু তাই নয় কলকাতার নামকরা বইপাড়া বলে পরিচিত কলেজ স্ট্রিট এলাকায় বইয়ের দোকানগুলি জলের তলায়, লক্ষ লক্ষ টাকার বই নষ্ট, শুধু বই না , দেখা গেছে স্টেশনারি গুডস থেকে শুরু করে, বিয়ের কার্ড কোন কিছুই বাদ পড়েনি প্রবল বর্ষণে, আবার কোথাও দেখা গেছে কম্পিউটার থেকে শুরু করে প্রিন্টার, জেরক্স মেশিন, সিপিইউ, ল্যামিনেশন মেশিন, সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জলের তলায় ভাসছে, এমনকি স্কুলের অর্ডারি জিনিসপত্র সমস্ত কিছুই জলে নষ্ট হয়ে গেছে, যে সকল স্কুলের ব্যাচ, বেল্ট, স্টিকার, আই কার্ড অর্ডার নিয়েছিলেন এবং তৈরি করে রেখেছিলেন সেগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুজোর সময় এইভাবে ক্ষতি হওয়ায় দোকানদাররা চিন্তিত, কিভাবে অর্ডারি জিনিস ডেলিভারি দেবেন, কারণ যতক্ষণ না মেশিনগুলি ছাড়াতে না পাচ্ছেন,
সকালবেলায় দোকানদাররা দোকানে এসে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন জিনিস পত্র উদ্ধার করার, কিন্তু উদ্ধার করতে এসে দেখেন বেশিরভাগই জিনিস জলের তলায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও পুরো নিগমকে দায়ী করলেন, অনেকেই বারবার বলার চেষ্টা করেছেন আমরা বাড়িতে বসেই লন্ডন দেখলাম, দিদি তৈরি করা লন্ডন। এবং পৌরসভার গাভীর জন্যই এত বড় ক্ষতি হলো, দিদি বলেছেন ৯৯ শতাংশ নাকি নিকাসীর ব্যবস্থাও হয়ে গেছে, একটা কথাই বলতে চাই দিদি কি স্পটে গিয়ে দেখে এসেছিলেন, পৌরসভার অফিসারেরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তাহলে আজ কলকাতা জলের তলায় ভাসতো না, আর দীঘার সমুদ্রে পরিণত হতো না , এবং এতগুলো লোকের প্রাণ যেত না, এর দায় কারা নেবে, বছরের পর বছর আমরা একই অবস্থা দেখে আসছি, উন্নয়ন কোথায়,
তাই আমরা একটা কথাই বলবো, আদৌ কী জল নিকাশির ব্যবস্থা হবে, না মানুষ জলের তলাতেই থাকবে, বাংলাকে লন্ডন না বানিয়ে আগে জল নিকাশের ব্যবস্থা করলে আমরা খুশি হবো,
তাই একটু বাংলার কথা ভাবুন, জাতে আর না এইভাবে জলে কলকাতা ভেসে না যায়, বছরের পর বছর ড্রেনগুলি পরিষ্কার হয় না, তাহলে জল নিকাশি হবে কিভাবে, তাই আমরা পৌরসভার ও দৃষ্টিগোচর করতে চাইছি।
আজ একদিনের বৃষ্টিতে জলের তলায় , পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট, কসবা, বেহালা, ঠাকুরপুকুর তারাতলা, নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ, গরিয়াহাট, পার্ক স্টীট, ময়দান, প্রভৃতি এলাকা জলের তলায়। জলের চাপে বহু গাড়ি বন্ধ হয়ে যেতেও দেখা যায়।
একদিকে যখন পুজোর আনন্দে বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল, অন্যদিকে একদিনের বৃষ্টিতে ম্লান করে দিল বাচ্চাদের হাসি, ক্লাব কর্তৃপক্ষ রাও এখনো চিন্তিত, পুজো কয়দিন কিভাবে কাটবে,