শুভ মহালয়ার বার্তা ও দেবীর চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো -বাঙ্গালীদের দুর্গোৎসব।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২১শে সেপ্টেম্বর রবিবার, ভোর থেকেই বেজে উঠে মহালয়ার গান, আকাশে বাতাসে কাশফুলের গন্ধ এবং ঢাকের বাজনার তালে তালে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘাটে ঘাটে তর্পণ, আর একদিকে মহালয়ার বার্তা নিয়েই দেবীর বোধন , চক্ষু দানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাঙ্গালীদের বড় উৎসব দুর্গোৎসব। ক্লাবে ক্লাবে বাজতে থাকে ঢাকের বাদ্য, তার সাথে সাথে নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা। এক ক্লাব থেকে আরেক ক্লাবে। আজ মহালয়ার পরেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি পূজোয় দুর্গা মায়ের চক্ষু দান করেন।
তেমনি ঠিক দুপুর একটাই , ফুলবাগান সি আই টি স্কীমের সংযোগস্থলে, স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির ১২ তম বর্ষের প্রতিমার চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে এবং ঢাকের তালে তালে শুরু হলো দুর্গোৎসবের বার্তা, আজকের বার্তা দিয়ে শুভ সূচনা হতে চলেছে ২৪শে সেপ্টেম্বর ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার উন্মোচন,
মহালয়া শুভ লগ্নে, সকাল থেকেই জমে উঠেছে পূজো মণ্ডপ এবং একে একে অতিথিদের আনাগোনা ও জমায়েত ক্লাব প্রাঙ্গনে , ঠিক দুপুর 1:30 টায় উপস্থিত হন এলাকার সকলের প্রিয় সমাজসেবী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী শ্রেয়া পান্ডে, তিনি মায়ের চক্ষু দান করে আজকের এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন। সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এলাকার বিধায়িকা সুপ্তি পান্ডে। যিনি সব সময় এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন, এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবেন,
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী ও সমাজসেবী শ্রেয়া পান্ডে, উপস্থিত ছিলেন মিস্টার শুক্লান, উদ্যোক্তা অমল হাজরা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী অতনু হাজরা, তনুশ্রী হাজরা, সুবীর বিশ্বাস, রতন সাহা, অপু দাস, অলোক গুপ্তা, প্রবীর বিশ্বাস, গৌর ঘোষ ,রঞ্জন। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও ভাবনায় সংবর্ত জানা ও দীপঙ্কর দে।
আজকের অনুষ্ঠানে যে সকল অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে মঞ্চে উত্তরীয় পরিয়ে হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে এবং কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে সম্মানিত করেন, এছাড়াও শ্রেয়া পান্ডের হাতে তুলে দেন ক্লাবের সদস্য ও সহযোগী এবং বিখ্যাত আর্টিস্ট অতনু হাজরার আঁকা ক্রেতা সুরক্ষার প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের একটি বাধানো ছবি। যেটি হাতে পেয়ে তাহারি মেয়ে শ্রেয়া পান্ডে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি, তাহার বাবার আঁকা ছবি হাতে পেয়ে দেবী দুর্গা মায়ের সামনে এই ভাবে ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, প্রথমেই জানাবো ক্লাবের উদ্যোক্তাদের এরকম একটি ভাবনা ও পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য। ভাবনা ও পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন_ “পাঁজর” এবং যে নামের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, একটা গণ্ডির মধ্যে বন্দী থেকে যারা আমাদের সবকিছুকে কাজের মধ্য দিয়ে সৌন্দর্য করে তোলে, আর এই সৌন্দর্যকে তুলে ধরার জন্য যে সকল জিনিসগুলি ব্যবহৃত হয়, আর সেগুলি দিয়ে পূজো মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলার জন্য, যেখানে দেখানো হয়েছে সেই সকল মানুষের চিত্র, হাতুড়ি করাত গামছা, ফিতে এবং কাঠ, আর আজ মহালয়ার দিনে এই স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির পূজো মণ্ডপে এসে প্রতিমার চক্ষুদান করে আমি ধন্য, আর একটা কথা বলব মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় এই সকল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন, যাহারা দিন রাত পরিশ্রম করে আমাদের সব কিছুর সৌন্দর্য বাড়ায় অথচ তারা রয়ে যায় আড়ালে, আজ স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি তাদেরকে নিয়েই ভাবনাটা তৈরি করেছেন, এবং এই বার্তাটা দিকে দিকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, আর একটা কথা বলবো সবার শেষে, এই কটা দিন সবার আনন্দে কাটুক, মানিকতলা বাসি সকলে সুস্থ থাকুক, এবং আজ আমার বাবাকে যে ভাবনা নিয়ে একটি সুন্দর বাবার মূর্তি একেঁ আমার হাতে তুলে দিয়েছেন সেই অতনু হাজরাকে আমি কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ জানাই, এমন একটি মূল্যবান স্মৃতি তুলে দেওয়ার জন্য। আগামী দিনে পথ চলা আরো শুভ হোক, আরো ভালো কিছু করুক, দর্শক ও পূজা প্রেমীদের উদ্দেশ্যে জানাবো, আপনারা আসুন এই মণ্ডপ পরিদর্শন করুন, আর এই ভাবনাকে দিকে দিকে পৌঁছে দিন। আমার তরফ থেকে রইল সবার জন্য প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ক্লাবের সকল সদস্যকে জানাই অভিনন্দন।