তেঁতুলিয়ায় মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা, কিশোরী
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রোববার বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসার ছাত্রীর নানী বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকায় তার বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে,আটক জামাল উদ্দিন একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করেন৷ ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় লেখা পড়া করা অবস্থায় মাঝেমধ্যে তার নানীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগী মাংস আনতে গেলে জামাল উদ্দিন বাড়ীতে লোকজন না থাকায় ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেন তিনি। এতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত হয়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করেন৷ এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন কর দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করেন জামাল উদ্দিন এবং একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েন৷
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামীরা পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানী মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জামাল উদ্দিনের ভাই ও স্ত্রীকে আসামী করা হয়৷
এ ব্যাপারে রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।