সুর ও সাধনা এবং প্রবুদ্ধ রাহা অ্যাকাডেমি ফর মিউজিক অ্যান্ড আর্টিস্টি -র যৌথ উদ্যোগে ..." শারদীয়া রামধনু - ২০২৫"
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ১৯শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার, কলকাতার মহাজাতি সদনে, ১৮ই সেপ্টেম্বর ঠিক বিকেল পাঁচটায়, সুর ও সাধনা এবং প্রবুদ্ধ রাহা একাডেমি ফর মিউজিক এন্ড আর্টিস্টি র যৌথ উদ্যোগে, এবং কিংশুক রায় ও প্রবুদ্ধ রাহার পরিচালনায়, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সাহায্যার্থে, একটি সুন্দর মনোরম সংগীত, শ্রুতি-নাটক ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে "শারদীয়া রামধনু" আয়োজন, উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু গুণবুদ্ধ শিল্পী ।
অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় একটি সংগীতের মধ্য দিয়ে ও মিষ্টি মুখের মাধ্যমে।
""শারদীয়া রামধনু" অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন..... শিল্পী...
হৈমন্তী শুক্লা, সৈকত মিত্র, প্রবন্ধ রাহা, কিংশুক রায় ,শম্পা কুন্ডু, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, জগন্নাথ বসু, উর্মিমালা বসু, বিজয় লক্ষ্মী বর্মন ,দেবাশীষ রায়, বর্ণালী সরকার ,নীলাদ্রি দে।
সমবেত সংগীতে ছিলেন..... প্রবুদ্ধ রাহা একাডেমি ফর মিউজিক অ্যান্ড আর্টিস্টি, পরিচালনায় প্রবুদ্ধ রাহা , হংসধ্বনি মিউজিক্যাল অ্যাকাডেমি, পরিচালনায় কিংশুক রায়।
খোলা হাওয়া বিপাশা মিত্র। নৃত্যে -ফলক রায়। যন্ত্রণুষঙ্গে- পার্থ মুখোপাধ্যায়, দেবাশীষ সাহা, শুভ রায় ,তরুণ চৌধুরী, সুজিত সেন।
বিশেষ অতিথি শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সলিলেন্দু ভট্টাচার্য, ডা: অংশু সেন ,রত্না রায়, সুপর্ণা দে, ডক্টর জয়ন্ত ধর।
সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন দেবাশীষ বসু ,মৌ গুহ ও বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়।
সুর ও সাধনার সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ডা:পূর্ণেন্দু বিকাশ সরকার এবং সুর ও সাধনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রশাসক গৌরাঙ্গ বিহারী রায়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কিংশুক রায় ও প্রবুদ্ধ রাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, আমরা এই অনুষ্ঠানটি দুটি পর্যায়ে করেছি, প্রথমটা করা হয় উত্তম মঞ্চে, আর দ্বিতীয়টি করলাম মহাজাতি সদনে, দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে, ৯০ বছরের ছাত্র সলিলেন্দু ভট্টাচার্যকে উৎসর্গ করে এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে, আরেকটি হলো ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের এবং গুণী শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প নিয়েই আমাদের এই অনুষ্ঠান ও পথ চলা, আমরা চেষ্টা করি সারা বছর ধরে সমাজ কল্যাণমূলক কাজে নিজেদেরকে যুক্ত করা, এই সকল শিশু ও শিল্পীদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, আমরা এই অর্থ ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হসপিটালের শিশুদের হাতে তুলে দেবো।
আমরা আগমনী বার্তা নিয়েই আজকে এই অনুষ্ঠান করলাম, এরপর কয়েকদিন সকলে পুজোর আনন্দ কাটিয়ে আমরা বিজয়া সম্মিলনী করবো, এবং বিজয়া দশমীতে অসহায় শিল্পীদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেবো। এইভাবেই আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে চলেছি এবং কুড়ি বছর ধরে আমরা অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি ।। তবে একটা কথা বলা অতি অবশ্যই প্রয়োজন , সকলের সহযোগিতা ছাড়া কখনোই এই ধরনের অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়, সকলের সহযোগিতা ও একান্ত চেষ্টায় আমরা এগিয়ে যেতে পারছি। সকলকে শুভ শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছা জানালাম।