মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে-প্রতিমা নিয়ে যেতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা -গ্রাম থেকে শহরে ও ভিন রাজ্যে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ. আজ ২০ শে সেপ্টেম্বর শনিবার, দুদিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টিতে একদিকে যেমন মৃৎশিল্পীরা চিন্তিত, অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তাদেরও ঘুম কেড়ে নিয়েছে বৃষ্টির জলে।
তবুও রাত পোহালেই মহালয়া, তাই উদ্যোক্তারা বৃষ্টির মধ্যেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিড় জমিয়েছেন কুমারটুলিতে, বেশ কিছু ক্লাবের উদ্যোক্তাদের প্রতিমা নিয়ে যেতেও দেখা যায়। কিছুটা বৃষ্টি থামতেই উদ্যোক্তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিমা নিয়ে প্যান্ডেলে পৌঁছাতে।
কুমারটুলি থেকে প্রতিমা যেমন পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে, তেমনি শহর থেকে গ্রামের প্যান্ডেল গুলিতে, জয়নগর, টালিগঞ্জ, বারাসত, ব্যারাকপুর, হুগলি, সল্টলেক ও বিভিন্ন স্থানে, প্রতিমা নিতে হাজির হয়েছেন বারোয়ারী পূজার উদ্যোক্তারা ও বাড়ির পুজো উদ্যোক্তারাও,
আর মুখেই একটা কথা শোনা গেল, কি করব যেভাবে প্রতিদিন বৃষ্টি নেমে আসছে , যেমন প্যান্ডেলের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না তেমনি প্রতিমা প্যান্ডেলের না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বাকি কাজও সম্পন্ন করা যাচ্ছে না, বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এটা উপরওয়ালার ইচ্ছা, ভগবানের উপর ভরসা করেই আমরা বৃষ্টির মধ্যেই প্রতিমা নিতে এসেছি।
বাড়ির পুজো ও বারোয়ারি পূজোর উদ্যোক্তারা একই কথা বললেন, বংশ পরস্পরায় আমাদের প্রতিমা মহালয়ার আগের দিন নিয়ে যাওয়া হয়।, তাই বৃষ্টি হলেও কিছু করার নাই, কারণ রাত পোহালেই মহালয়া, আর আমাদের বংশ পরস্পরায় রীতিনীতি মেনেই পূজো হয়, আর বাড়ির পুজো মানেই, নিয়ম কানুন মেনে পুজো শুরু হয়, তাই আগে থেকে প্রতিমা না নিয়ে গেলে সাজানো সম্ভব হবে না, আমরা ভগবানের উপর ভরসা করেই আজ প্রতিমা নিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি,
কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা জানালেন, প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে, আমাদের কাজ অনেকটাই থমকে গিয়েছে।, কিন্তু কিছু করার নাই, সমস্ত লেবারদের নিয়ে আমাদেরকে রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে, কারণ যে সকল পুজো উদ্যোক্তারা ঠাকুর বায়না দিয়েছিলেন, তাহারা আমাদেরকে নির্দিষ্ট দিন জানিয়েই অর্ডার দিয়েছিলেন, তাই তাহাদেরকে সময়ে প্রতিমা দিতে হবে, একদিকে যেমন বৃষ্টি হওয়ার ফলে প্রতিমার ক্ষতি হওয়ার ভয় রয়েছে, তেমনি উদ্যোক্তাদের সময়ে প্রতিমা দেয়ার জন্য আমাদের রাত জেগে কাজ শেষ করতে হচ্ছে।, তবে চেষ্টা করছি যাতে পুজো উদ্যোক্তারা সময় তাদের প্রতিমা নিতে পারেন।,
প্রত্যেক শিল্পীরা আরও জানালেন, এবারে প্রত্যেকের প্রতিমার অর্ডার বেশি হয়েছে অন্যান্য বছর থেকে, কিছু নতুন পূজা উদ্যোক্তারাও প্রতিমা অর্ডার দিয়ে গেছেন। আর সবার উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো, পূজো কটা দিন আনন্দে কাটুক, সবাই আনন্দে মেতে উঠুক এই কামনা করি।