১২ তম বর্ষে স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির এবারের ভাবনা-- "পাঁজর"
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ: আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, কলকাতার ফুলবাগান ও সি আই টি স্কিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত, স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির দুর্গাপুজো, 12 তম বর্ষে এ বারের ভাবনা-- "পাঁজর" দেখতে দেখতে ১২ তম বর্ষে পদার্পণ করল এই দুর্গাপুজো, এবং মানুষের মন জয় করে নিয়েছে, শুধু মন জয় করেই নেননি, প্রতিবছর বড় বড় পুজোকে টেক্কা দিয়ে, বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এবারেও তারা চেষ্টা করছে আবার লড়াইয়ের মাঠে পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়ার। এই ভাবনার মধ্য দিয়ে।
স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির উদ্যোক্তা অমল হাজরা জানালেন, কোন কিছুই একার পক্ষে করা সম্ভব নয়, যাহারা আমার পাশে না থাকলে, আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে, কোন এই জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারতাম না, যাহারা আমার কে অত পথ হবে সহযোগিতা করে চলেছেন, আমার ক্লাবের কাছের মানুষ, সুবীর বিশ্বাস, রতন সাহা, গৌর ঘোষ ,অপু দাস ,অলোক গুপ্তা, প্রবীর বিশ্বাস ,অতনু হাজরা, রঞ্জন সহ অন্যান্য সদস্যরা। তাহাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতি বছর পূজোর সার্থক হয়ে উঠেছে। আমি তাদেরকে পেয়ে কৃতজ্ঞ ও গর্বিত।
আমাদের এবারের ভাবনা ও পরিকল্পনায় রয়েছেন সংবর্ত জানা ও অতনু হাজরা। প্রতিমা শিল্পী অমিয় পাল, আবহাওয়া সংগীতে অনুশ্রীতা এবং আলোক পরিকল্পনায় দীপঙ্কর দে।
স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতির উদ্যোক্তারা, প্রতিবছর নতুন নতুন ভাবনাও পরিকল্পনা আনেন, যেখানে আর্ট কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা , পরিকল্পনা ও ভাবনার অংশীদার হয়, এবং তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফুটে উঠে পূজো মন্ডপ। তাই এবারও তারা চেষ্টা করছেন, প্রতিমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভাবনাকে ফুটিয়ে তোলার, পুজো প্রেমের দর্শকদের মনকে জয় করে নেওয়ার। তবে স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি, পুজো নিয়েই থাকেন তা নয়, সারা বছর বিভিন্ন কর্মযজ্ঞে মেতে থাকেন, রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো,
এবারের ভাবনা নিয়ে উদ্যোক্তা অমল হাজরা জানালেন, এবারের এই ভাবনাটা আনার মূল উদ্দেশ্য, যারা সারা জীবন কাজের মধ্যে বন্দি দশায় কাটায়, পরিবারের মানুষদের একমুঠো মুখে ভাত তুলে দিতে, রোদ জল ঝড় বৃষ্টিতে বাড়ি ছেড়ে বেরোতে হয় কিছু উপার্জনের জন্য, আর যে যন্ত্রগুলি তাদের মুখে অন্য জোগাড়ের ব্যবস্থা করে দেয়, যেগুলি ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব নয়, সকাল হলেই যে যন্ত্রগুলি নিয়ে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে যায় কাজের খোঁজে, সেই কড়াত, ইঞ্চি ফিতে, গামছা, টেবিল, এবং কাঠ, যেগুলি দিয়ে গড়ে উঠছে পূজা মন্ডপের সৌন্দর্য, যাহারা পয়সার জন্য সারা জীবন পরিশ্রম করে চলে কিন্তু তাদের খোঁজ কে রাখে, তাই তাদেরকেও ভাবনার মধ্যে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এমনকি জানালেন উদ্যোক্তা অমল হাজরা এবারের তাদের সহযোগিতায় যে সকল শিল্পী ও ডেকোরেটরের কর্মীরা কাজ করছেন তাদেরকে ইন্সুরেন্স করে দিয়েছেন, এবং তাদের পাশের দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। যাহাতে তারা কোন কিছুতে একটু সহযোগিতা পায়, তবে বেশি বাজেটের পূজা না হলেও ,বড় বড় বাজেটের পূজা কে টেক্কা দিয়ে প্রতিবারে বহু সন্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন।
সত্যিই এরকম ভাবনা যদি সমস্ত পূজা উদ্যোক্তাদের থাকে, তাহলে এরাও একটু খুশি ও আলোর মুখ দেখবে। আর দর্শকদের ও পুজো প্রেমীদের জানায়, আপনারাও মিস করবেন না, ২৪শে সেপ্টেম্বর শুভ সূচনা হতে চলেছে এই প্রতিমার, আসুন দেখুন পুজো প্যান্ডেল দর্শন করুন, আপনাদের মতামত আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।